নরসিংদী সদরবাসীর আশীর্বাদ হিসেবে নরসিংদী সদর ১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (নৌকা মার্কার) মনোনয়ন প্রত্যাশ সাবেক মানবিক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলের আবির্ভাব , কামরুজ্জামান কামরুল কে নৌকার মনোনয়ন দিলে তিনি হবেন সদরবাসীর আশীর্বাদ এবং তার হাতেই হবে অবহেলিত সদরের উন্নয়ন বিপুল ভোট হবেন তিনি বিজয়ী। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে যে কারো জন্য খুলে যেতে পারে নতুন দুয়ার। যেমনটা ঘটেছিল গত নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে। প্রথমে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেওয়া হয় নরসিংদী যুবলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফ হোসেন সরকারকে।তিনি নরসিংদীর স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ মেয়র লোকমান হত্যাকা-ের অভিযুক্ত হওয়ায় অনেকেই তখন লোকমান পরিবারের রাজনীতির শেষ দেখেছিলেন।কারণ মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল লোকমানেরই আপন ছোট ভাই। কিন্তু একদিন পরেই সেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল উচ্চ পর্যায়ে তদবির করে নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চুকে নৌকার মনোনয়ন এনে দিতে সমর্থ হন। যদিও তখন কেউ কল্পনাও করেনিএমনটি হতে পারে। নরসিংদী তথা সারা বাংলাদেশে তখন ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। আমজাদ হোসেন বাচ্চুকে মেয়র হিসেবে জয়লাভ করান নরসিংদীর দুইবারের সাবেক সফল মেয়র মো:কামরুজ্জামান কামরুল। নিজেকে তিনি আবারও নরসিংদীর রাজনীতিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও যোগ্য নেতা হিসাবে প্রমাণ করান। গত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেওতিনি চমক দেখান। নরসিংদীর অনেক প্রভাবশালী নেতারা তার কোন পদ না পাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেনও সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীকেই পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়।তারা দুজনেই কামরুলের ঘনিষ্ঠজন হিসাবেই পরিচিত।আর ১ নং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পান মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল। কিছুদিন আগে নরসিংদীর রাজনীতিতে কপাল পোড়া সারা জীবন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা এসএম কাইয়ুমের নেতৃত্বে কিছু মানুষ নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মানিক কমিশনার হত্যাকান্ডে কামরুলকে জড়িয়ে বিভিন্ন উস্কানি মূলক বক্তব্য ওমিছিল করে। মানিক কমিশনারের স্ত্রী দাবি করেন হত্যাকা-ের জন্য কামরুল দায়ী।কিন্তু কিছুদিন পরেই মানিক কমিশনারের স্ত্রী স্বীকার করেন টাকা দিয়ে তাকে এ ধরনের বক্তব্য দিতে বলা হয়।কামরুলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মূলত তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত একটি স্বার্থন্বেষী মহল। কামরুলের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালানো বন্ধ নেই। কিন্তু কামরুল এগিয়ে যাচ্ছেন আপন মহিমায়। বর্তমান আওয়ামী লীগের নরসিংদী জেলা কমিটির একটা বৃহৎ অংশ কামরুলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।তারা অনেকেই প্রকাশ্যে এবং বাকিরা গোপনে কামরুলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
নরসিংদীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতাই কামরুলকে এমপি হিসেবে দেখতে চান এই বিলবোর্ড দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।নরসিংদীর সর্বত্র ছেয়ে গেছে এই ধরনের বিলবোর্ডে। ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল।নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের তিনি ছিলেন সহ-সভাপতি।তারপর তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।পরবর্তীতে তিনি নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই মেয়াদে নরসিংদী পৌরসভার নগরপিতা থাকাকালীন সময়ে অসংখ্য উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডও করুনার সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নরসিংদীর মানবিক মেয়র হিসাবে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একজন নেতারমধ্যে যেই গুণাবলী থাকা দরকার তার সবকিছুই অর্জন করেছেন তিনি।তাই আগামী নির্বাচনে নরসিংদী সদর ১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কামরুল হতে পারেন নতুন চমক এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।