ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ইউপি নারী সদস্য, ছয় লাখে রফা
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২৩-০৫-৩০ ১০:২২:২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দারের কাছে জন্মনিবন্ধনের স্বাক্ষর আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য। পরে ওই নারী চেয়ারম্যানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রথমে সে রাজি হলেও পরে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনা জানাজানি হলে ভূক্তভোগী নারী সদস্যের স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেন। ভূক্তভোগী নারী এই বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি হাজী মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। সেখানে আপোষ মিমাংসা করতে না পেরে পরে এলাকায় গিয়ে বিষয়টি ছয় লাখ টাকায় ধামাচাপা দেয়া হয়। এই ঘটনা টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। ভূক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মাসের ১৮ তারিখে বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পরে একটি জন্মনিবন্ধনে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর এর প্রয়োজন পরে। এসময় চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পরে তিনি তার সাথে যোগাযোগ করলে সোলমান সিকান্দার তাকে বাসায় যেতে বলেন। পরে ভূক্তভোগী ওই নারী ইউপি সদস্য স্বাক্ষরের জন্য তার বাসায় যায়। সেখানে চেয়ারম্যান সোলমান সিকান্দার একাই ছিলেন। এসময় ওই নারী বাসায় ঢুকলে চেয়ারম্যান তার বাসায় দড়জা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে জোড় করে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান সোলমান সিকান্দার। পরে ওই নারী এই ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে সোলমান সিকান্দার তাৎক্ষনিকভাবে তার কাছে মাফ চান এবং ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে জানান। পরে ওই নারী চলে গেলেও চেয়ারম্যান পরে তার কথা পাল্টে ফেলেন। এবং তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে ভূক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী ঘটনাটি জেনে ফেলেন। ২৫ মে ভূক্তভোগী ওই নারীর স্বামী তাকে তালাক দেন। পরে নিরুপায় হয়ে ওই নারী আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি হাজী মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার কাছে এই ঘটনার বিচার চান এবং বিয়ের দাবি করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৯ মে বিকালে হাজী ছফিউল্লাহ মিয়ার অফিসে এই বিষয় নিয়ে আপোষ মিমাংসার জন্য বসলে ওই নারী তা না সমাধান না করেই সবাই চলে যায়। ওইদিন রাতেই তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের সাবিনা মেম্বারের বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, তালশহর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রশিদ মেম্বার, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার, ও ভুক্তভোগী ওই নারী উপস্থিত ছিলেন। পরে রাতেই ছয় লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোড়পূর্বক আপোষ মিমাংসা করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে ভূক্তভোগী ওই নারীর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে ইউপি নারী সদস্য সাবিনা মেম্বারের মোবাইল কল করলে তার স্বামী নূরুল আমিন সরকার মোবাইল রিসিভ করে বলেন, রাতে ভূক্তভোগী ওই নারী আমাদের বাসায় আসছিল। সবাই বসে চা খেয়ে কথা বলেছে। তবে টাকা দিয়ে সমাধান করার বিষয়টি আমার জানা নাই। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়ের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এই বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার বলেন, ইউনিয়নের বরাদ্দ নিয়ে মেম্বারদের সাথে অনেক সময় ঝামেলা হয়। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এসব তথ্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী