রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী আদালতে ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে। বুধবার(২৪ মে) দুপুরে রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু। বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আবেদিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পেনাল কোডের ৫০০/৫০১ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ১ নং আসমি করা হয়েছে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক মো.আবু সাঈদ চাঁদ। মামলার অন্য আসামিরা হলো বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড.নাদিম মোস্তফা সহ অজ্ঞাত ২০/৩০ জন। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে বিকেলে রাজশাহীর পুটিয়া শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় বিএনপি'র জনসভায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কবরে পাঠানো হবে। ওই দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রচারমাধ্যম, অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পেয়ে মর্মাহত ও অপমানিত হন। এ বক্তব্যে রাজবাড়ীর অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় ও অপমান বোধ করেন। তাছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপি নেতার বক্তব্য প্রচার হওয়ায় মানহানি হয়েছে। মামলার সাক্ষী হিসেবে চার জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হারুন রশীদ মানিক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বি এম এহতেশাম, কালুখালি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এনায়েত শেখ। মামলার বাদী শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির পর সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষুব্ধ মানুষ হুমকিদাতার বিচার চাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা ও কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি জাতিসহ মানে না। এজন্য আমরা আইনের দারস্থ হয়েছি। বিচার চেয়েছি। আশা করছি আদালতে ন্যায় বিচার পাবো।