সাভারে কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয় হত্যার ঘটনায় আসামিদের ফাসির দাবীতে মানববন্ধন
- জসিম উদ্দিন বিজয়, সাভার
-
২০২৩-০৫-২১ ০৭:১৩:০৬
- Print
সাভারের আশুলিয়ায় অপহরণের পরে কলেজ শিক্ষার্থী ফারাবী হত্যার ঘটনায় আসামীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২১ মে) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মানববন্ধনে এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নিহতের পরিবার আত্মীয় স্বজনরা অংশ গ্রহণ করেন।
নিহত হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আটকৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জ সদর থানার পশ্চিম দাস পাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে মুয়াজ হোসেন পরান (২২), বগুড়ার সোনাতলা থানার মহেশপাড়া গ্রামের তাহেরুল ইসলাসের ছেলে মো. সুমন বাপ্পী (২৩) এবং নওগাঁ জেলার মুসা আলীর ছেলে আকাশ মিয়া (২০) ।
জানা যায়, গত ৮ মে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারাবী আহমেদ হৃদয়কে অপহরণ করে পঞ্চাশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তার চার বন্ধু। পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাকে নির্মম ভাবে হাত পা বেধে হত্যা করে লাশ আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় একটি ডোবার মধ্যে ফেলে রাখে। পরে নিহতের পরিবার আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে এঘটনায় র্যাব ৪ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে গেল ১৮ মে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় অপহরণকারীদের নামে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে আজ আসামীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন কলেজ শির্ক্ষাথীরা।
এ বিষয়ে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনার মূল হোতা পরান ও নিহত হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। হৃদয়ের বাবা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল। পরান ও তার সহযোগী মো. সুমন, আকাশ মিয়া এবং পলাতক আসামি শাহীন সুকৌশলে হৃদয়কে ডেকে নিয়ে এসে রশি দিয়ে বেঁধে তার মা’কে কল করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা প্রথমে হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর, তার মুখে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু ু নিশ্চিত করে। পরে লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় রিক্সায় করে আশুলিয়ার মোজারমেল এলাকার পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়।
আশুলিয়া থানার এসআই আবুল হাসান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ হত্যা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।