রাজশাহীর দুর্গাপুরে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারী গাছ কর্তনের অভিযোগের
- মোবারক হোসেন শিশির, দুর্গাপুর, রাজশাহী
-
২০২৩-০৫-১৮ ০৫:২৯:৫৬
- Print
১৭ মে উপজেলা বনকর্মকর্তা প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে সরজমিনে গিয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দামকুড়া মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দুর্গাপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের (বর্তমানে কোর্ট বুলনপুর) এলাকার ফজলুল হকের পুত্র .কলেজ শিক্ষক বাবুল হোসেন দুর্গাপুর উপজেলা নওপাড়া ইউনিয়নের আলিয়াবাদ ডাঙ্গাপাড়ায় নিজের পাশে নীচু জমি ভরাট করতে গিয়ে রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার লক্ষাধিক টাকার ৮টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে নেন। এবিষয়ে এলাকার সচেতন মহল নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ মে উপজেলা বনকর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে দ্রুততার সরজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই সহ ক্ষতির পরিমান সনাক্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে কলেজ শিক্ষক বাবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি সরকারী গাছ কর্তনের কথা অকপটে স্বীকার করে বলেন, গাছগুলো কাটা আমার অপরাধ হয়েছে।
চেয়ারম্যান শফিকুল আলম শফি বলেন, কলেজ শিক্ষক বাবুল হোসেন আলিয়াবাদ ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় নিজ জমি ভরাট করতে গিয়ে রাস্তার পাশের্বর সরকারী গাছ কর্তন করছে এমন সংবাদ পাওয়ার সাথে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং জমি ভরাট করতে নিশেধ করি এবং সরকারী গাছ কেন কর্তন করলেন গাছ কর্তনের জন্য সরকারী কোন অনুমতি আছে কি এবিষয়ে শিক্ষক বাবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে না পারায় আমি গাছ কর্তনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ কর্তনের অভিযোগের তদন্ত কাজ শুরু করেছি, তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, সোহের রানা বলেন, কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারী গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলা আলিয়াবাদ ডাঙ্গাপাড়ায় সরকারি পাকা রাস্তার পাশেই কলেজ শিক্ষক বাবুল হোসেনের ফসলি জমি। রাতের আঁধারে ফসলি জমি ভরাট করতে সমস্যা হওয়ায় রাস্তার পাশে থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বড় ও মাঝাড়ি আকৃতির ৮টি ফলজ ও বনজ গাছ রাতের আঁধারে গাছ গুলো কেটে নেন বাবুল হোসেন।