ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে বছরে তিন লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন
- নূর আলম, নীলফামারী
-
২০২৩-০৫-১৬ ০৯:৫৬:৫৫
- Print
খাবারেই সুস্থ্যতা আবার খাবারেই অসুস্থ্যতার কারন মন্তব্য করে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, এ জন্য ভেজাল খাদ্য পরিহার এবং চকচকে কিংবা রঙ্গিন খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী ইপিআই মিলনায়তনে লাইফ স্টাইল এবং হেলথ এডুকেশন এ্যান্ড প্রমোশন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন(ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদের সোহেল, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জয় চন্দ্র রায়, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামসুল ইসলাম, গেøাসি মিডিয়ার রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাজেদ মাসুদ, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধি নূর আলম বক্তব্য দেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভেজাল খাদ্য বা অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে অন্যান্য রোগ তো রয়েছেই বিশেষ করে তিন লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন প্রতি বছরে। যা ভয়াবহ আমাদের জন্য।
তিনি বলেন, জটিল রোগ থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে এখন থেকে প্রত্যেককে আমাদের সচেতন হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন(ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছি হয়তো অতিরিক্ত মুনাফার জন্য কিন্তু যিনি ভেজাল তৈরি করছেন তিনি মানুষকে ঝুঁিকর মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন। এজন্য সম্মিলিত ভাবে প্রচারনা চালানোর পাশাপাশি সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
শুধু সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগ নয় প্রত্যেকটি মানুষের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
সরকারী বিভিন্ন দফতর প্রধান, এনজিও প্রতিনিধি, নারী নেত্রী, ব্যবসায়ী নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে ভেজাল খাদ্য গ্রহণ এবং খাদ্যে ভেজাল রোধে প্রচারণা মুলক লিফলেট বিতরণ করা হয় স্থানীয়দের মাঝে।