ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ফুলবাড়ী আ'লীগের সংবাদ সম্মেলন
- জাহাঙ্গীর আলম, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
-
২০২৩-০৫-১৩ ০৩:০৩:২৬
- Print
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর, তদন্ত কমিটি গঠন এবং সবশেষ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে মামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখা।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠুসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন জেলা-উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে কোন সম্মেলনে ছাড়াই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে যাদেরকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকেরই পরিবার বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত। ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির অনেকেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়েছেন। এই মাদকের ঘটনার জের ধরে গত ৬ মে রাতে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ও বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাত হাসান তুষারের অনুসারীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের নিজের অপকর্মের ঘটনা ধামাচাপা দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে। আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। গঠিত তদন্ত কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা। কিন্তু এর মধ্যেই আমাদেরকে অবজ্ঞা করে বর্তমান ছাত্রলীগ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। আমার পরে আরো অনেকেই এই উপজেলায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এসেছেন। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যারা আছেন এদের মত বেপরোয়া কাউকে দেখিনি। এরা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করেনা। ছাত্রলীগের নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখিয়ে এরা মাদক কারবার সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মান ক্ষুন্ন করেছে। এদের বেপরোয়া কার্যক্রম দিন দিন বেড়েই চলছে। আজকে নিরপরাধ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আগামী দিনে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাও এদের থেকে নিরাপদ নয়। আমি আপনাদের মাধ্যমে জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিন। প্রকৃত আওয়ামী পরিবারের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী কে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এনে উপজেলা ছাত্রলীগকে কলঙ্কমুক্ত করুন।