আগামীকাল (শনিবার) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি)তে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৬০ তম কনভেনশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
শুক্রবার (১২ মে) রাজধানীর রমনায় (আইইবি)`র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)`র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু লিখিত বক্তব্যে জানান, আগামীকাল (শনিবার) সকাল এগারোটায় আইইবির ৬০তম কনভেনশনের শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের কনভেনশনের স্লোগান হলো, `ইনোভেটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন দ্যা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন`। কনভেনশনে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের রোডম্যাপও দিবে আইইবি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও ৫ দিনব্যাপী কনভেনশনের নানান আয়োজন। রয়েছে জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্ব, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা, ৪টি স্মৃতি বক্তৃতাসহ বিদেশী অতিথিদের সংবর্ধনা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
কনভেনশনে অনকেগুলো দাবি উত্থাপিত হবে। বিষয়গুলো হলো ১) ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স এ প্রধান প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্ত মর্যাদা অনুযায়ী অন্তর্ভুক্ত করা।
২) প্রকৌশল সংস্থাসমূহে শীর্ষপদগুলোতে অপ্রকৌশলী ব্যক্তিদের স্থলে প্রকৌশলীদের পদায়ন করা৷
৩) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রকৌশল উইং সৃষ্টি করা।
৪) কারিগরি জ্ঞানহীন বা প্রকৌশল কাজে চর্চাবিহীন ব্যক্তিদের পিডি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গকে পিডি হিসেবে নিয়োগ করা।
৫) এলজিইডি, পানি সম্পদ প্রকৌশল , আইসিটি এবং টেক্সটাইল ক্যাডার অনুমোদন করা। টেলিকমিউনিকেশন ক্যাডারে বন্ধকৃত নিয়োগ চালু করা।
৬) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সিনিয়র সার্ভিস পুল অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া।
৭) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বা সমমর্যাদার পদসমূহকে ২য় গ্রেড এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বা সমমর্যাদার পদসমূহকে ৩য় গ্রেড প্রদান করা।
৮) বেসরকারি চাকুরিতে অবস্থানরত প্রকৌশলীদের জন্য চাকরির নীতিমালা প্রণয়ন করা৷
লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শীবলু আরও বলেন, ৫ দিনব্যাপী আয়োজিত ৬০তম কনভেনশন শুরু হয়েছে নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১১ মে বিকাল ৫:০০ মিনিট শহীদ প্রকৌশলী স্মৃতি বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। ১৩ মে (শনিবার) বিকাল দুইটায় ড. প্রকৌশলী এম.এ. রশীদ স্মৃতি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এড. শ. ম. রেজাউল করিম। একই দিনে বিকাল চারটায় ড. প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী স্মৃতি বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
আগামী (রবিবার) ১৪ মে সকাল নয়টায় ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন প্রিপারেডনেস ইন দ্যা সোসাইটি এন্ড ইন্ডাস্ট্রি শীর্ষক জাতীয় সেমিনার উদ্বোধন করা হবে। জাতীয় সেমিনার উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। ১৫ মে (সোমবার) দুপুর দুইটায় জাতীয় সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান।
কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে আগামী সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশান এরশাদ।
আইইবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এই সময় উপস্থিত ছিলেন আইইবির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুরুজ্জামান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল কালাম হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রনক আহসান, ইঞ্জিনিয়ার প্রতীক কুমার ঘোষ, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাসির উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার মেছবাহুজামান চন্দন, আইইবির ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল বাসার, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিব আহমেদ হালিম মুরাদসহ আইইবির বিভিন্ন সেন্টার, সাব-সেন্টারের নের্তৃবৃন্দ।
কনভেনশনের দ্বিতীয় দিন আজ (শুক্রবার) ১২ মে বিকাল ২.৩০ মিনিট প্রকৌশলী এম.এ. জব্বার স্মৃতি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। বিকাল চারটায় শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্ণেল মো. ফারুক খান।