ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
জিংক সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু ধান এর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
  • নূর আলম, নীলফামারী
  • ২০২৩-০৫-১১ ০২:২৩:৫০
নীলফামারীকে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-ধান ১০০(বঙ্গবন্ধু ধান) এর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের কিছামত দোগাছি এলাকায় কৃষক শফিকুল ইসলামের উঠানে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বিশেষ অতিথি ছিলেন এতে। ওয়ার্ল্ড ভিশন নীলফামারী এরিয়া প্রোগ্রাম’ প্রোগ্রাম অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে ব্রি-ধান ১০০ এর চাষ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-ধান ১০০ আবাদ করেছি। ফলন পেয়েছি বিঘায় ২৬মন করে। কৃষি বিভাগ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন এর সহযোগীতায় এই ধান আবাদ করে নিজেকে ধন্য মনে হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি জমিতে আমি আবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন এর প্রোগ্রাম অফিসার প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, ভাতের সঙ্গেই মিলবে পুষ্টি উপাদান জিংক! এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শিশু ও মায়েদের পুষ্টির কথা বিবেচনা করে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ চলতি বোরো মৌসুমে নীলফামারী পৌরসভা ছাড়াও টুপামারী, খোকশাবাড়ি ও পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ১৬জন কৃষক এই জাতের ধান আবাদ করেছেন। এজন্য প্রশিক্ষণ এবং সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে তাদের। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রি ধান ১০০(বঙ্গবন্ধু ধান)-এ প্রতি কেজি চালে জিংক রয়েছে ২৫.৭ মিলিগ্রাম। যা শিশু, মা ও বযস্কদের জিংকের চাহিদার ৭০ভাগ পূরণ করতে পারে। এই ধানের জাতটির জীবনকাল ১৪৮ দিন। গড়ে ফলন হয় হেক্টর প্রতি ৭.৭ টন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন আরো বেশি হতে পারে। আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তাগণ বলছেন, জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাতটি কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলার উদ্দেশ্যে প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগীতায় আগামীতে বেশি সংখ্যক কৃষককে এই জাতের ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী