সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে মানববন্ধন
- নাজমুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ
-
২০২৩-০৫-০৭ ০৬:৪৩:০৫
- Print
সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে সদর উপজেলা কাওয়াকোলা ইউনিয়নের আবাদি জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কাওয়াকলা ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কাওয়াকোলা ইউনিয়ন বিলীন হওয়া থেকে রক্ষায় ইউনিয়বাসী মানববন্ধন করেছে।
রবিবার (৭ মে ) সকাল ৯ টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টের পুরাতন জেলখানায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে কাওয়াকোলা ইউনিয়নের নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের জনগন এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে।
বক্তারা বলেন, আমরা ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়ন বাসী পাড়ভাঙ্গা এলাকায় বসবাস করি। জেনেছি যে, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কর্তক জিয়ারপাড়া বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়েছে। যাহা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী স্থানে অবস্থিত। অতচ কতিপয় বালুদুস্য বদরুল আলম, গোলাম মোস্তফা সোহাগ, তৌহিদুল ইসলাম তাপস,. তোফাজ্জল হোসেন সহ জোরপুর্বক অবৈধ ভাবে নদীর পূর্ব পাড়ে অর্থ্যাৎ ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নের মধ্যে বালু উত্তোলণ করছে।যা নিয়ম বর্হিভূত ও আইন পরিপন্থি। বালু উত্তোলণের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের ফসলী জমী, বসত বাড়ীঘর, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, কমিউনিটি সেন্টার মুজিবকেল্লা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে।
বক্তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা আমাদের অবহেলিত ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নে অনেক উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন। যেমন: বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করেছেন, কমিউনিটি সেন্টার,মুজিবকেল্লা ও পাকা রাস্তা নির্মান করেছেন এবং ভূমিহীনদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী সেখ হাসিনা কে ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ। আর আজকে এই অবৈধ বালু উত্তলোণের কারনে এইসব উন্নয়ন মুলক কাজ হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্য কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একারনে ৮নং কাওয়াকোলা ইউনিয়নবাসী মানব বন্ধনে সমবেত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কাওয়াকোলা ইউনিয়নের সার্জেন্ট এস এম রফিকুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান, ইউপি সদস্য জনাব আলী, আমজাদ হোসেন, সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।