নীলফামারীর এসএসসি পরীক্ষা কক্ষে ‘দেওয়াল ঘড়ি’ উপহার
- নূর আলম, নীলফামারী
-
২০২৩-০৪-২৯ ০৫:৫৪:৪৮
- Print
নীলফামারী সদর উপজেলার আটটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ‘দেওয়াল ঘড়ি’ দেয়া হয়েছে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্তে এই ঘড়ি দেয়া হয় আজ দুপুরে কেন্দ্র সচিবদের হাতে হাতে।
উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৩০টি দেওয়াল ঘড়ি হস্তান্তর করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার।
পরীক্ষা কেন্দ্র সমুহ হলো নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাবেয়া বালিকা বিদ্যা নিকেতন, নতুন দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ছমির উদ্দিন স্কুল এ্যান্ড কলেজ, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, আলিয়া মাদরাসা ও নীলফামারী টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ।
ছমির উদ্দিন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মেসবাহুল হক বলেন, পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই দেওয়াল ঘড়ি কারণ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়া অন্যকিছু বহন করা নিষিদ্ধ।
তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালে এক ঘন্টা হলে বেল বাজানো বা ঘন্টা বাজানো হয়। ঘড়ি না থাকায় পরীক্ষার্থীরা হিমশিম খেয়ে উঠে চোখের সামনে ঘড়ি থাকার ফলে সময় অনুপাতে পরীক্ষার খাতায় প্রশ্নের উত্তর লিখা সহজ হবে তাদের পক্ষে।
আমার প্রতিষ্ঠানের ১৬টি কক্ষে উপজেলা পরিষদের উপহার দেয়া ঘড়ি ব্যবহার করা হবে পরীক্ষার্থীদের জন্য।
নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে ২৩টি ঘড়ি দেয়া হয়েছে এরফলে পরীক্ষার্থীদের বিশেষ উপকার হয়েছে। পরীক্ষার হলে সময় দেখা বা মেইনটেইন করা গুরুত্বপুর্ণ বিষয় একটি। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রেও এর প্রভাব পড়বে ঘড়ির সময়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন, দাম কম হলেও বিষয়টি গুরুত্বপুর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে কারণ পরীক্ষার হলে বসলে সময় নিয়ে অনেকটা টেনশনে থাকতে হয় কারণ পরীক্ষার কক্ষে দেওয়াল ঘড়ি থাকে না। ঘন্টার উপর নির্ভরশীল হতে হয় এরফলে উত্তর লেখায় অনেকটা স্বাভাবিকতা থাকে না।
পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখে সদর উপজেলার ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ১৩০কক্ষে দেওয়াল ঘড়ি সরবরাহ করা হয়।
দেওয়াল ঘড়ি উপহার মহতী উদ্যোগ মন্তব্য করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, আমার জানা মতে এ রকম উদ্যোগ আর কোথাও নেয়া হয়নি।
পরীক্ষার্থীরা দারুণ ভাবে উপকৃত হবেন এই ঘড়ির ফলে। সময় দেখে উত্তর লেখার ফলে পরীক্ষার রেজাল্টেও প্রভাব পড়বে।