ঢাকা বুধবার, মে ৮, ২০২৪
মায়ের কাছ থেকে পিতা-পুত্রকে চুরি করায় স্মৃতিশক্তি হারিয়ে শয্যাসায়ী মা
  • মোবারক হোসেন শিশির, দুর্গাপুর (রাজশাহী)
  • ২০২৩-০৪-০৭ ০৪:৫৯:৩৫

মায়ের কাছে দুধভাত খাওয়া ৯বছরের শিশুপুত্রকে পিতা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে দিন দিন স্মৃতিশক্তি হারিয়ে শয্যাসায়ী হয়ে আছেন মা ফরিদা ইয়াসমিন।

অসুস্থ মাকে সুস্থ করতে ছোটভাইকে পিতার কাছ থেকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কতর্ৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন বোন নুবরাত ইয়াসমিন নিশাত ।  

ফরিদা ইয়াসমিনের ছোট বোন ফিরোজা ইয়াসমিন জানান, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন ও আমার বড়বোন ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির দীর্ঘ ২৪ বছর ঘর সংসারে দুই কন্যা ও এক শিশুপুত্র জন্মলাভ করে।

বিগত ৪ বছর থেকে বড় বোনের স্বামী নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান সোহরাব হোসেন পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়লে তাদের সুখের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। আমার বড়বোন পরকিয়ায় বাঁধা প্রদান করলেই স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে কয়েক দফা দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি হয়েছেন।

সোহরাব হোসেন ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির ছোটকন্যা নুবরাত ইয়াসমিন নিশাত জানায়,  পারিবারিক কলহ বিবাদের জের ধরে গত ৭ মাস পূর্বে আমার মায়ের ওপর মানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আমাকে ও আমার ছোটভাইকে সহ মাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় আমার বাবা। আমার মা আমাকে ও আমার ৯ বছর বয়সী ছোটভাই ফাইয়াজ হোসেন শেখকে নিয়ে নানার বাড়ী রাজশাহীর কাটাখালী থানার দেওয়ান পাড়ায় চলে আসে। আমার মা আমাদের দুইভাইবোনকে কাটাখালীর দুইটি স্বানামধন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করে পড়াশোনা করাচ্ছে। এরইমধ্যে গত ১৪ মার্চ আমার নানীর বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে সকলের অগচরে আমার পিতা আমার ছোটভাই ফাইয়াজ হোসেনকে চুরি করে দুর্গাপুরে নিজবাড়ীতে নিয়ে যায়। শিশু সন্তানকে না পেয়ে আমার মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের পর জানাযায় যে আমার বাবা আমার ছোটভাইকে গোপনে চুরি করে নিজবাড়ী দুর্গাপুরের নওপাড়ায় নিয়ে গেছে। ছোটভাইকে উদ্ধারের জন্য আমি ও আমার মা প্রথমে কাটাখালী এবং পরে দুর্গাপুর থানায় গিয়েও প্রশাসনিক আইনগত কোন প্রকার সহযোগীতা না পাওয়ায় দুর্গাপুরেই আমার মা ফরিদা ইয়াসমিন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে চিকিৎসা শেষে অসুস্থ মাকে নিয়ে কাটাখালীর দেওয়ান পাড়ায় নানার বাড়ীতে ফিরে যায়। ছোটভাই ফাইয়াজ কে কাছে না পেয়ে সেইদিন থেকে আমার মা দিন দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে আমার মা দিন দিন অনেকাংশে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে বাসায় শয্যাসায়ী হয়ে আছে।

অনেকাংশে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা গুরুতর অসুস্থ মাকে সুস্থ করতে ছোটভাই ফাইয়াজ হেসেন শেখকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন ফাইয়াজ হেসেন শেখ এর বড় বোন নুবরাত ইয়াসমিন নিশাত।

দিনাজপুরে জমকালো আয়োজনে আইইবি’র ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
আগামীকাল দিনাজপুরের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ
দিনাজপুরে শুরু হয়েছে, ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৪
সর্বশেষ সংবাদ