চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকার হাইমচরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে টাস্কফোর্সের পৃথক অভিযানে ৬০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক জেলেদের মধ্যে ৪৪ জনকে কারাদন্ড, ৫ জনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১১জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অভিভাবককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশগ্রহণকারী হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ।
এর আগে ৫ এপ্রিল পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী ও হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক।
এক মাস কারাদন্ড প্রাপ্ত জেলেরা হলেন-সাহামীম বেপারি (১৯), ওয়াজ উদ্দিন (১৯), মোঃ কাশেম (২২) মোঃ রমিজল ঢালী (৪০), মনির হোসেন (১৮), রহিম মাঝি (২২), সোহেল ফকির (২০), আজিজুল সরদার (৪০), ইয়াসিন ১৮), সাইফুল ইসলাম সরকার (২৭), মোরসালিন মাঝি (২০), মোঃ নবীর(১৮), জাকির হোসেন (২২), ফয়সাল (১৯), মাসুদ শেখ (১৯), জিয়াউর রহমান (৩০), মহিউদ্দিন (১৯), জয়নাল খাঁ (৪৮), আব্দুল কাদির (২৬), কবির (১৮), শাহাদাত (১৮), আলামিন (১৮), মোঃ নজরুল (১৮), মোঃ মামুন মিজি (২০), আব্দুর রহমান সরকার (২০), শুকুর আলী মিজি (৩৮), ইয়াসিন সিকদার (২৪), মোঃ আবু বক্কর (৩২) রফিকুল ইসলাম (২৫), জহির গাজী ২৩)।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ বলেন, গত ২৪ ঘন্টার অভিযানে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরা অবস্থায় হাতেনাতে নৌ পুলিশ আল-আমিন (২৮), বাদশা সরদার (২১), নাছির হাওলাদার (৩২),মনির হোসেন (২৬), মিলন সরদার (২৫) নামে ৫ জেলেকে আটক করেন। তাদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান ও ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে ৪০ জন জেলেকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ২৯ জনকে ১ মাস করে এবং ১জনকে ৩ মাস কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আর বাকী ১০জনকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তাদের অভিভাবকদেরকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করে সতর্ক করে দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
তিনি আরো বলেন, বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক ও শাহরাস্তি উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তার মোহাম্মদ ফারুক আহম্মেদ এর নেতৃত্বে পৃথক আরেক অভিযানে ১৫জন জেলেকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অভিভাবককে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকী ১৪ জনকে ১মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিক।
কারাদন্ড প্রাপ্ত জেলেরা হলেন-মো. শাহাদাত (২৫), মো. নাছির (২৪), মো. মনির হোসেন (২৫), মো. দেলোয়ার (২৮), মো. আরশাদ (৩২), মো. শফিকুল ইসলাম (৩৮), মো. মিজান (৩৫), মো. হানফি (১৯), মো. ইয়াছিন (২৮), নুর আলম গাজী (২০), শাহিদ খাঁন (২২), ইব্রাহীম খাঁন (২২), মো. আবদুর রহমান (২১) ও জিল্লুর রহমান (২০)।
অভিযানে জব্দ ১০০ কেজি জাটকা গরীবদের মাঝে বিতরণ, ১ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট ও ১টি নৌকা জব্দ রয়েছে।
এসব অভিযানে কোস্টগার্ড হাইমচর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।