ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
ভোলায় তুলার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত - ১, ক্ষতি কয়েক কোটি টাকা
  • মোঃ জহিরুল হক, ভোলা
  • ২০২৩-০৪-০৪ ০৯:০৭:৪১
ভোলায় তুলার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুন নিভানোর কাজে জড়িত থাকার সময় স্টোক করে ইব্রাহিম (৫০) নামের এক ব্যক্তি মৃত্যু বরন করেন এবং আগুন নিভাতে গিয়ে অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া তুলার কারখানার আশ-পাশের আরো ৭-৮টি ঘরও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। স্থানীয় জানা গেছে, ভোলা শহরের বাপ্তা ইউনিয়নের জামিরালতা ও পৌর ৬নং ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় সুলতান রাঢ়ী বাড়ীর দক্ষিণ পাশের মোঃ হোসেন মিয়ার তুলার কারখানায় শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ভায়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পুড়ো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুরো এলাকায় সাধারণ মানুশের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের খবর পেয়ে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে যার মত এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে এসে আগুন নেভানোর কাছে নিয়োজিত হয়। এদিকে কারখানায় গ্যাস সংযোগ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে বিলম্ব হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস এবং এলাকার লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। তবে কি পরিমানে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তার নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রাথমিকভাবে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে এমন ধারনা করা হচ্ছে। এছাড়া আশ-পাশের আরো ৭-৮টি ঘরও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তাদেরও প্রায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত থাকার সময় রাঢ়ী বাড়ীর আঃ বারেক এর ছেলে মোঃ ইব্রাহীম (৫০) অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে তাৎক্ষনিতভাবে এ্যাম্বুলেন্স যোগে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদ করিম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন সরকার, ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন ফকির, পৌর ৬নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ ওমর ফারুক, ভোলায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন ফকির জানান, আমরা আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটও আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং প্রায় ঘণ্টা দুয়েক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তকে কি পরিমান ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন সরকার বলেন, কতটুকু ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী