দিনাজপুরের নেশার টাকার যোগান না দেওয়ায় স্ত্রী আরিফা বেগম (২৭) কে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী।
ঘাতক স্বামীর নাম বেলাল হোসেন( ৩০), সে দিনাজপুর সদরের ৯ নং উপশহরের ১০ নং ওয়ার্ডের হাউজিং অফিস সংলগ্ন ডাঃ মশিউর রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তার পৈত্রিক বাড়ি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার মুরালিপুর গ্রামের মমিনুল ইসলামের ছেলে।
শরিফা বেলাল দম্পতির একমাত্র ছেলে সন্তান আরিফ (১২) জানান, বুধবার দিন গত রাতে সেহেরী খাওয়ার পর মা আরিফা বেগম সহ আমি ঘুমিয়ে পড়ি। বাবা বেলাল হোসেন পাশের রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে আমি আরবি পড়ার জন্য মাদ্রাসায় চলে যাই এবং মাদ্রাসা থেকে ফিরে এসে মায়ের রুমে ঢোকার সময় বাবা মায়ের রুম থেকে তাড়াহুড়া করে বের হয়ে চলে যায়। রুমের ভিতরে গিয়ে দেখি মা আরিফা বেগম মুখ ঢাকা দিয়ে নিথর দেহে পড়ে আছে। অনেক ডাকাডাকি করার পর যখন মা উঠছে না তখন মায়ের মুখের কাপড় সরিয়ে দেখি জিব্বা বের করে নিথর দেহ পড়ে আছে। তাড়াতাড়ি পাশের বাড়িতে নানী কাজ করতে যাওয়া নানীকে বিষয়টি জানালে নানিসহ আবার আমি আমার মায়ের কাছে আসার পর জানতে পারি সে মারা গিয়েছে। আমি নিশ্চিত মাকে বাবা বেলাল নিজেই হত্যা করে পালিয়েছে।
নিহত আরিফা হোসেনের মা রোজিনা বেওয়া বলেন আমার জামাতা বেলাল হোসেন মাদকাসক্ত সে প্রায়ই আমার মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন সহ মাদকের টাকা চাইত। আমার মেয়ে আরিফা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে সংসার চালাত। জামাতা বেলাল স্থানীয় একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেও সংসারের কোন খরচ দিত না। সে সবসময় নেশায় আসক্ত থাকতো। আমি এই নরপশু মাদকাসক্ত বেলালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।
দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আবু তৈয়ব দুলাল বলেন, মাদকাসক্ত হয়ে জামাতা বেলাল তার স্ত্রী আরিফাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে আরিফা একজন নামাজী এবং ভালো মেয়ে ছিল। এই মাদকাসক্ত বেলাল হোসেন কে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতার এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে আমি সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার শুরু করেছে।