ভোলায় সড়ক দূর্ঘটনায় চারদফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ।থানায় মামলা
- মোঃ জহিরুল হক, ভোলা
-
২০২৩-০৩-১৯ ১৩:৩৭:৩৭
- Print
ভোলায় বাসের ধাক্কায় হালিমা খাতুন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী শিখা আক্তার ও রিমা বেগম নিহত হওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছেন থানায়। রবিবার সকালে ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী রাস্তার দুই দিকে দাঁড়িয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁদের সাথে যোগ দেন কলেজের শিক্ষক ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীরা নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং নিরাপদ সড়কের দাবি সহ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করেন।
পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বেলা ১২.৩০ টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
এদিকে পুলিশ বাদী হয়ে ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও সহকারীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাসের স্টাফদের আসামী করা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাস চালককে আটক করতে আদালতের সোপোর্দ করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ গত শুক্রবার সকালে দৌলত খানের বাংলাবাজার এলাকার ওতোরউদ্দিন নামক স্থানে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীসহ ৪জন নিহত হন। আহত হন বোরাক ড্রাইভার। ঘটনার পর আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের সহপাঠী তানিয়া বলেন, ‘ শিখা ও রিমা আমাদের কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত শুক্রবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে ঘাতক বাস উল্টোপথে এসে চাপা দেয়'। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ নিহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেন ।
হালিমা খাতুন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুরে আলম নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একদিনের শোক দিবস পালন করেন।
শিক্ষার্থীদের যে যোক্তিক আন্দোলনের সাথে তিনিও একাত্মতা প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিচারের দাবি করেন।
তবে আন্দোলনের নামে কেউ যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অবশ্যই যৌক্তিক। তবে এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেউ যেন পরিস্থিতিকে অন্যদিকে নিতে না পারে, এমনকি এই ঘটনারকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই দিক থেকে আমাদের পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক নজরদারির পাশাপাশি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।