ঢাকা শনিবার, মে ৪, ২০২৪
বিজনেস সামিটে বিশেষ গুরুত্ব পাবে দেশের পর্যটনশিল্প
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ২০২৩-০৩-০৪ ১১:৫০:৪১

প্রকৃতির রূপসী কন্যা হিসেবে খ্যাত আমাদের এই ছোট্ট বাংলাদেশ। পর্যটক আকর্ষণে কি নেই এখানে? পাহাড়, সমুদ্র, নদী, বন-জঙ্গল সবই উজাড় করে দিয়েছে প্রকৃতি। দেশের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে কতই না সৌন্দর্য। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন ‌‌‘সুন্দরবন’ যেমন তার মায়াবী সুন্দরের ডালি সাজিয়ে রেখেছে পর্যটক আকর্ষণে, ঠিক তেমনি পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারও তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে রাখে বিশ্ববাসীকে। যা পর্যটন শিল্পের জন্য বিশাল পাওয়া। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও সুষ্ঠু পরিকল্পনা আর উদ্যোগের অভাবে আজও সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এমন বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো বিজনেস সামিট আয়োজন করতে যাচ্ছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এই সামিটে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হবে দেশের পর্যটন ও সম্ভাবনার কথা।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ১১ থেকে ১৩ মার্চ বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হবে। ১৩০টির বেশি দেশের বিনিয়োগকারীরা এতে অংশ নিচ্ছে। সেখানে একটি সেশন রাখা হয়েছে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে। বিশ্বের কাছে দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারলে এই শিল্পের চেহারাই বদলে যাবে বলে মনে করেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনকে বিকশিত করতে প্রচারের দরকার। এই যে বিশাল একটা ডেলিগেট এখানে আসবে তাদেরকে আমরা আমাদের ব্রান্ড সম্পর্কে অবহিত করব। এর ফলে তারা জানতে পারবে আমাদের দেশে কি কি প্রোডাক্ট রয়েছে। আমাদের দেশের পর্যটনের বিকাশের জন্য প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। আশা করছি, এখান থেকে আমরা বিনিয়োগ পাবো।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার বলেন, বিজনেস সামিট এবং আমাদের ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যান দুটো একসঙ্গে মিলে গেছে। আমি খুবই আশাবাদী, আমাদের দেশের সেবা এবং স্ট্যান্ডার্ড আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাই, তাহলে আমরা পৃথিবীর যেকোনো কারো সাথে আমরা প্রতিযোগিতায় যেতে পারব। কিন্তু এর জন্য আমাদের টেকনিক্যাল এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দরকার। আশা করি, বিজনেস সামিটের মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে ভালো সারা পাবো।

তিনি বলেন, দেশে প্রায় ১১শ ট্যুরিজম স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি স্পটকে উন্নত করতে হবে। এর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন এবং সেটা সরকার বা কোনো ব্যক্তি একা পারবে না। এর জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিশেষ করে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।

সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে নেতৃত্ব দেবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ