দিনাজপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ৩দফা দাবী বাস্তবায়নে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
- চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ, দিনাজপুর
-
২০২৩-০২-১৯ ১১:২৮:২২
- Print
কার্যকর চাকুরিকালের ভিত্তিতে জেষ্ঠ্যতা পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড, প্রযোজ্য টাইম স্কেল প্রদান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইম স্কেল সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান, অর্থমন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পত্র বাতিল, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় বাস্তবায়নের ৩ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন দিনাজপুর জেলায় কর্মরত শিক্ষকরা।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখ সড়কে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়।
এর আগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দিনাজপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, প্রাথমিক শিক্ষা এর মূল’ এই মহান বাণীর গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের দূর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যেও ১৯৭৩ সালে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩৬ হাজার ১৬৫টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণ করেছিলেন। পরবর্তীতে বর্তমান সরকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ওই জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকগন গ্রেজেট এবং পরিপত্র মূলে ৫০ শতাংশ কার্যকর চাকুরিকালের ভিত্তিতে জেষ্ঠ্যতা পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড, প্রযোজ্য টাইম স্কেল প্রদান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইম স্কেল সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান, ২০২০ সালের ১২ আগস্ট অর্থমন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পত্র বাতিল, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় বাস্তবায়ন করা হয়নি। উল্লেখিত এই ৩ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ মমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধীন চন্দ্র সরকার, সদস্য রমজান আলী, মোঃ জামান, মোছাঃ মমতাজ বেগম, ভুপতি চন্দ্র রায়সহ ১৩ উপজেলা থেকে আগত অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। ৩ দফা দাবী সমূহ হলো: ১। “অধিগ্রহনকৃত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকুরীর শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩ অধীন বিধি ২ (গ), বিধি ৯ উপবিধি (১), (২), (৩) অনুযায়ী ৫০% কার্যকর চাকুরী কালের ভিত্তিতে জৈষ্ঠ্যতা, পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড এবং প্রযোজ্য টাইম স্কেল প্রদান। ২। ৪৮,৭২০ জন প্রধান শিক্ষক ও সরকারি শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইম স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা স্থায়ী সমাধান দরকার। পাশাপাশি ১২ আগষ্ট ২০২০ইং তারিখে অর্থমন্ত্রনালয় কর্তৃক জারিকৃত পত্রটি বাতিল ও প্রশাসনির ট্রাইবুনালের রায় বাস্তবায়ন করা। ৩। অধিগ্রহনকৃত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটে বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের গেজেটভুক্ত করা।
মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মেহেদী হাসান।