যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক-এর যৌথভাবে উৎপাদিত টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আশাবাদী এর উৎপাদকরা। বাজারজাতকরণের অনুমতি পেলে আগামী অক্টোবরে ভ্যাকসিন বাজারে আনতে চান তারা।
গেল ৫ মে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির উৎপাদিত টিকা মানবদেহে পরীক্ষা চালানো শুরু হয়। ইতোমধ্যে তারা এ নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক সমীক্ষা শুরু হয়েছে। আর দ্রুত এটি বাজারজাত করতে চান তারা। ফাইজার এবং বায়োএনটেক জানিয়েছে, নিজেদের উদ্ভাবিত টিকা মূল্যায়নের জন্য তারা বিশ্বজুড়ে সমীক্ষা চালাবে।
২০২০ সালের শেষ নাগাদ এই টিকার ১০০ মিলিয়ন ডোজ এবং ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের অনুমতি চাওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাইজার-এর প্রধান নির্বাহী অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন, তারা আশা করছেন, অক্টোবর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফডিএ কর্তৃপক্ষ তাদের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়ে দেবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রথম দিকে রোগীদের এই টিকার দুইটি করে ডোজ দেওয়া হবে। ফলে প্রথম ১০০ মিলিয়ন ডোজ পাবেন প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ। বিশ্বে ১২০টি স্থানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ওপর এই টিকার পরীক্ষা চালানো হবে। বিশেষ করে অধিক হারে করোনার প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকাগুলোতে।