ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
বীরগঞ্জে বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা
  • চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ, দিনাজপুর
  • ২০২৩-০২-১৪ ০৭:৪৫:২১

বসন্ত বরণ,  বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ফুল ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত দু'বছর করোনার নির্মমতায় বাংলাদেশ সহ পৃথিবীতে নেমে আসে বিষাদের ছাপ। মহামারীতে অনেক প্রিয়জন হারানোর বেদনায় বন্ধ হয়ে যায় বাঙ্গালীর আবহমান জীববৈচিত্র্যে কালের উৎসব বসন্ত ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন। ফিকে হয়ে যায় বসন্ত বরণ এবং ভালোবাসা দিবসের উৎসব মুখর দিনগুলি। সেই সময় ঢাকাসহ সারাদেশে বন্ধ ছিলো বিয়ে, অন্যান্য দিবস উদযাপনসহ সকল সামাজিক অনুষ্ঠান। ফলে এসব দিবসকে ঘিরে মাঠে ফুলের চাষ থাকলেও ছিলনা বিক্রি। এ কারণে আর্থিকভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে ক্ষতির মুখে ছিল ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবছর ভালোবাসা ও বসন্ত বরণকে ঘিরে ছিলো ব্যবসায়ীরা। বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ফুল ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দুটি বিশেষ দিন এবং আসন্ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস কে সামনে রেখে বাহারি ফুলের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দুদিনে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি করবেন এমনটাই আশা করছেন। অনেক ব্যবসায়ী ফুলে ক্যাপ পরিয়ে রেখেছেন। বিক্রির ২/৩ দিন আগে ক্যাপ খুলে তা বিক্রি করবেন। বর্তমানে রাশিয়া -ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং তুরস্ক সিরিয়ায় ভূমিকম্পের নির্মমতায় ব্যাপক প্রাণহানির শোকে বিভোর বিশ্ববাসী। তবে এতো সবের পরেও এবার বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে নতুন করে উৎচ্ছাসে মেতে উঠেছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের সমাজ। তাদের উৎচ্ছাসকে রাঙ্গিয়ে তুলতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ফুল ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পৌরশহরের থানা মার্কেটের সামনে ও বীরগঞ্জ-পীরগঞ্জ রোডসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসেছে বাহারি ফুলের দোকান। আর দোকানগুলিতে দিনভর ফুল প্রেমী মানুষদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ী মো.হযরত আলী জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ ভালো থাকায় ফুলের ফলন যেমন ভালো হয়েছে। তেমনী দু'বছর পর ফিরেছে উৎসবের আমেজ, তাই বিক্রি হচ্ছে ভালো। বীরগঞ্জ পৌরশহরের শিমূল ফুল ঘর, রাজ ফুল ঘর ও অর্পিতা ফুল বিতানের মালিক কনক বিশ্বাস, শিমূল রায়সহ অনেকেই জানান, এবার যেভাবে ফুলের চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে বিগত বছরের ক্ষতি পুঁষিয়ে দিতে পারবো বলে মনে করছে তাঁরা। 

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে রজনীগন্ধা, গেলান্ডিলাজ সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের মধ্যে গোলাপের চাহিদা বেশি। প্রতিটি গোলাপ মানভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত