ঢাকা রবিবার, মে ৫, ২০২৪
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবকিছুই করব: সাহাবুদ্দিন
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ২০২৩-০২-১৩ ১০:৪০:১৫

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমার যা করণীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমি তাই করব, এমনটাই জানিয়েছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নব নির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে কয়েকটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মো. সাহাবুদ্দিন।

একটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো আমার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোথাও নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করার প্রয়োজন হলে আমি তাই করব।সেটা সরকারি বা বিরোধী দল যে কারও বিপক্ষেই যাক তাতে আমি পিছপা হব না।

মো. সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাতিল করা হয়েছে।তাই সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সুতরাং তা নিয়ে আলোচনা করারও সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে কিল হয়ে গেছে। তাই এটা এখন আর সংবিধানের পাঠ নয়। সব দলের অংশগ্রহণে একটা নির্বাচন হোক, সেটা শুধু আমার একার নয় সারা বিশ্ব এবং জনগণের কামনা। দলের স্বার্থেই নির্বাচনে আসা উচিত।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে সংঘাতে না গিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এটি হবে মঙ্গল। এতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হবে।

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় এবং মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাহাবুদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ