ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
দীর্ঘ দেড়বছর পর জোড়া হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
  • বিনা আক্তার, রায়পুরা (নরসিংদী)
  • ২০২৩-০২-১০ ০৯:৪৯:১০
নরসিংদীতে জোড়া খুনের ঘটনাকে সড়ক দূর্ঘটনা হিসেবে চালানোর চেষ্টা মামলায় দীর্ঘ দেড়বছর পর রহস্য উদঘাটন করলেন জেলা পিবিআই। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর হেডকোয়ার্টার্সে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি (পূর্ব) মোরশেদুল আনোয়ার, ডিআইজি (পশ্চিম) মিরাজ উদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা বিভাগ) সায়েদুর রহমান, নরসিংদী জেলা (এসপি) মো: এনায়েত হোসেন মান্নান এর উপস্থিতিতে জানান, গত ২০২১ সালের ১২ আগস্ট রাত অনুমান ৭.৫৫ মিনিটে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের পাশে কামারটেক এলাকা হতে ভিকটিম শাহান শাহ আলম বিপ্লব (৩৪) ও মোঃ মনির হোসেন (৩৪) নামে দুইজনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ এবং শিবপুর মডেল থানায় সড়ক আইনে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মাইক্রোবাসের চালক (অজ্ঞাতনামা) কে আসামী করা হয়। পরে উপপরিদর্শক মোঃ খাজা মাঈনুদ্দিন মামলার তদন্ত শেষে মাইক্রোবাসের মালিক মোঃ মাসুম মিয়া (৪১) (পলাতক) কে আসামী করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ দ্বারায় আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ভিকটিমের ভাই বাদী সোহাগ মিয়া উক্ত চার্জশীটের বিরুদ্ধে আদালতে না-রাজী প্রদান করেন। আদালত বাদীর না-রাজী গ্রহণ করে নরসিংদী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশন (পিবিআই) কে অধিকতর তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোঃ এনায়েত হোসেন মান্নান এর দিকনির্দেশনায় উপপরিদর্শক মোঃ আশরাফ আলীর নেতৃত্বে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মামলা তদন্তের শুরুতেই ভিকটিম শাহান শাহ আলম ওরফে বিপ্লব এর সম্ভাব্য শত্রুপক্ষের বিষয়ে যাচাই করে ঘটনার পরক্ষণে জনগনের হাতে বিপ্লবের একসময়ের ডিস ব্যবসার পার্টনার আসামী মামুন মিয়া যিনি বিপ্লবের ডিসি ব্যবসার টাকা অনৈতিকভাবে আত্মসাৎ করায় বিপ্লব তার ব্যবসা থেকে বের করে দেয় এবং শত্রুতা তৈরি হয়। তাকে জনগন ধরতে পারলেও দুর্ঘটনার কথা বলে ঘটনাস্থল থেকে জনগনের কাছ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলে উক্ত আসামীর উপস্থিতি জানতে পেরে বিষয়টি সন্দেহজনক হলে এবং ঘটনায় নিহত ভিকটিমদ্বয় দুর্ঘটনার স্বীকার নয় বরং পরিকল্পিত হত্যার বিষয় হতে পারে মর্মে সন্দেহের সৃষ্টি। ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত মাইক্রোবাসের মালিক আসামী মোঃ মাসুম মিয়া কাছাকাছি এলাকায় থাকলেও তিনি তার গাড়ি দেখতে বা নেওয়ার জন্য ছুটে আসেননি। যাহা আরো সন্দেহের সৃষ্টি করে। পরে নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ, ঢাকাসহ একাধিক অভিযান পরিচালনা করে গাড়ির মালিক (যাকে পলাতক দেখিয়ে সড়ক পরিবহন আইনে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়ে) কে গ্রেফতার করা হলে অনেক নতুন তথ্য বের হয়ে আসে এবং বিষয়টি হত্যাকান্ড বলে নিশ্চিত ধারনা পাওয়া যায়। তার দেওয়া তথ্যমতে বহু চেষ্টা করে ঘটনায় জড়িত আসামী সোহাগ মিয়া (২০) কে গ্রেফতার করা হয়। আসামী সোহাগ মিয়া ঘটনার পরিকল্পনা, হত্যার উদ্দেশ্যে অবস্থান নেওয়া, হত্যাকান্ড সংঘটন সংক্রান্তে বিস্তারিত তথ্যসহ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেন। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে টানা তিন দিন অভিযান শেষে আসামী মাসুদ মিয়াকে কুমিল্লা রেলস্টেশন এলাকা থেকে ছদ্মবেশে কলা বিক্রয়কারী অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় এবং সেও ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে হত্যার পরিকল্পনা, অবস্থান ও বাস্তবায়নের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জবানবন্দী প্রদান করেন এবং সর্বশেষ অত্র জোড়া খুনের নেতৃত্ব দানকারী বিপ্লবের কঠিন শত্রু মামুন মিয়াকে একাধিক অভিযান শেষে কৌশলে গ্রেফতার করা হয় এবং সেও ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্য অনুযায়ী শাহান শাহ আলম ওরফে বিপ্লবকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটনার অনুমান ১৫/২০ দিন পূর্বে আসামী মামুন মিয়ার নেতৃত্বে লোচনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এলাকায় বসে পরিকল্পনা করা হয়।
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ আসামি খালাস
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস
ইসকন নিষিদ্ধ হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: হাইকোর্ট
সর্বশেষ সংবাদ