নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পিকাপ-সিএনজি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে সিএনজি চালক খোরশেদ মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হন।
নিহত খোরশেদ মিয়া পাশের ভৈরব উপজেলার মধ্যেরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এখন পর্যন্ত আহতের নাম ঠিকানা যানতে পারে নি পুলিশ। সিএনজিতে থাকা এক যাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে।
আজ রোববার সকাল সাতটায় মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেট্রো ন-১৯ - ৬২৭২ নামের একটি পিকাপ ভৈরব যাবার পথে মাহমুদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিপরীত দিক ভৈরব থেকে আসা বারৈচা গামী সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পিকাপের সামনের অংশ এবং সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নিহত হন। সিএনজিতে থাকা৷ এক যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে বলে যানা যায়। এ ঘটনার পর থেকে পিকাপ চালক পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ যানযট নিরসনে কাজ করে। সকাল ৯টায় গাড়ি দুটো উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী মো হারুন বলেন, ভৈরব গামী পিকাপ চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে সিএনজি চালক নিহত হন। সিএনজিতে থাকা এক যাত্রী দুই পা ভেঙে যায়। স্থানীয়দের সহায়তাকারী আহতকে ভৈরব হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কে সিএনজিসহ নিষিদ্ধ যানবাহন পুলিশের সামনেই সারাদিনওই চলাচল করে। সিএনজির কারনেই প্রায়ই দূর্ঘটনা গুলো ঘটছে। কিছুদিন পর পর ছোট বড় দূর্ঘটনায় তরতাজা মানুষ৷ গুলো মারা যাচ্ছে। এ রখম দূর্ঘটনা থেকে মুক্তি চাই।
ভৈরব হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক নুর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি চালকের লাশ উদ্ধার করি। গাড়ী দুটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পিকাপের চালক পলাতক। এ বিষয়ে পরবর্তী আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।