ঢাকা বুধবার, মে ৮, ২০২৪
পলিনেট হাউজে আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল চাষে সফল শহিদুল ইসলাম
  • নাজমুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ
  • ২০২৩-০১-২৪ ০৯:১৭:৩৩
পলিনেট হাউজ (গ্রীণহাউস) প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী বৃষ্টিপাত, তাপ, কীটপতঙ্গ, ভাইরাসজনিত রোগ ইত্যাদির মতো প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে শাকসবজি ফলমূলসহ কৃষি উৎপাদন করার এক আধুনিক পদ্ধতি।আর এই আধুনিক পদ্ধতির মধ্যে ফুল চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। জানা যায়, পলিনেট হাউসে ফুল চাষ করতে বছরে খরচ হচ্ছে ৫-৬ লাখ টাকা। আর ফুল বিক্রি করে বছরে তিনি লাভবান হচ্ছেন ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা। এবছর শহীদুলের ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই হাউসে গাদা, গোলাপ, চন্দ্র মল্লিকা ফুলে ছেয়ে গেছে। বর্তমানে ফুল তুলতে ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শহিদুল। দেশের বিভিন্ন জেলায় এই ফুল বিক্রি করা হচ্ছে। ফুলের চাহিদা রয়েছে অনেক। তার দেখা দেখি এ অঞ্চলের আরো অনেক কৃষক পলিনেটে হাউসে ফুল ও সবজি চাষে উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে দুজন কৃষক কাজ শুরু করেছেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রতনকান্দিতে একটি পলিনেট হাউস নির্মান করা হয়েছে। এই পলিনেট হাউসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন উচ্চ মূল্যে যে ফসল ও ফুল রয়েছে তার চাষাবাদ করা। বিশেষ করে লেটুস, ক্যাপসিকাম, বিভন্ন ফুল চাষাবাদ করা। আবার শীত কালীন ফুল ও ফসল গ্রীস্মকালীন সময়ে চাষ করা যায়। পলিনেট হাউসে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রন করা হয়। অনেক সময় শৈত্য প্রবাহ, খরা, অতিবৃষ্টির কারনে উচ্চ মূল্যের ফসল গুলো চাষাবাদ করতে সমস্যা হয়। কিন্তু পলিনেট হাউসে এই সমস্যা গুলো থাকবে না। আগাম ফসল এখানে চাষাবাদ করা হচ্ছে। এর ফলে কৃষক তার ন্যয্য মূল্য পাচ্ছে। আর্থিক ভাবে কৃষক লাভবান হবে। সফল ফুল চাষি শহীদুল ইসলাম বলেন, পলিনেট হাউসে চাষাবাদ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে অনেক নিরাপদ থাকা যাচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে উন্নত মানের টমেটো, ক্যাপসিকাম, লেটুস, ফুল কপি, বাঁধা কপি চাষাবাদ করতে পারবো। এতে অনেক ভালোবান হবো। এক সময় ফসল চাষাবাদের পর জমি ফাঁকা থাকতো। তখন কোন কিছু চাষাবাদ করতে পারি নাই। কিন্তু পলিটেন আসার পর এখন আর জমি পতিত থাকে না। এবছর ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফুলের চাহিদা রয়েছে অনেক। আশা করছি এখান থেকে ভালো মুনাফা পাবো। তিনি আরও বলেন, আমার পরিনেট হাউসে ফুল ও ফসল চাষাবাদ ভালো হওয়ায় এ অঞ্চলের আরো অনেক কৃষক পলিনেটে হাউসে ফুল ও সবজি চাষে উদ্যোগ নিয়েছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পতিত প্রবন রায় বলেন, পলিনেট হাউসে ফুল চাষ জেলায় এই প্রথম। পলিনেট হাউসে দীর্ঘমেয়াদী ফুল চাষ করা যায়। শীতের ফুল গরমে এবং গরমের ফুল শীতে চাষাবাদ করা যায়। এটি খুব লাভজনক ব্যবসা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শা দেয়া হয়। পলিনেট হাউস তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। এটি অতিবৃষ্টি এবং গ্রীস্মকালে অনেক সময় ফসলের চারা মরে যায়। তবে পলিনেট হাউজে ১২ মাস যে কোন ফুল যে কোন সবজি চাষাবাদ করতে পারবে কৃষক। এতে কৃষকও খুশি। স্থানীয় তারেক হোসেন ও শাহিন আলম বলেন, নদী ভাঙ্গন অঞ্চলে পলিনেট হাউজে ফুলের চাষাবাদ হচ্ছে। এত বড় পলিনেট হাউস আর কোথাও নাই। এর মাধ্যমে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনি শহিদুল ইসলামের পলিনেট হাউস দেখে অনেক কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার উদ্যেগ নিয়েছে। এ হাউস দেখার জন্য অনেকেই আসেন। বিভিন্ন রংয়ের ফুল দেখতে খুব ভালো লাগে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আনোয়ার সাদাত বলেন, আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলায় একটি পলিনেট হাউস নির্মান করা হয়েছে। এই পলিনেট হাউসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন উচ্চ মূল্যে যে ফসল ও ফুল রয়েছে তার চাষাবাদ করা। কৃষক এতে বেশি হবে।
দিনাজপুরে জমকালো আয়োজনে আইইবি’র ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
আগামীকাল দিনাজপুরের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ
দিনাজপুরে শুরু হয়েছে, ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৪
সর্বশেষ সংবাদ