ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকের আদালত বর্জনের সময় বাড়ানো হলো ৩০শে জানুয়ারী পর্যন্ত
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২৩-০১-২৪ ০৯:১২:৪৯
জেলা জজসহ ২ বিচারকের অপসারনের দাবীতে চতুর্থ দফায় আদালত বর্জন কর্মসূচী বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার ৩য় দফায় বর্ধিত কর্মসূচীর শেষ দিনে আবারো ৬ দিনের জন্য আদালত বর্জন কর্মসূচী গ্রহন করে জেলা আইনজীবী সমিতি। নতুন কর্মসূচীর আওতায় আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করবেন আইনজীবীরা। ১২ই জানুয়ারী রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর ওই দুই বিচারকের আদালত ছাড়া সকল আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইনজীবি সমিতি। ১৪ই জানুয়ারী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয় জানিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। তবে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক বদলি হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া নাজির মোমিনুলকে দ্রæততম সময়ের মধ্যে বদলি করা হবে বলে মন্ত্রীর আশ্বাসের বিষয়টি বৈঠকে জানানো হয়। এরপর ১৫ জানুয়ারি থেকে অন্য সব আদালতে যাওয়া শুরু করেন আইনজীবীরা। আগে বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে এই দাবী পূরন না হওয়ায় আবারো ২ বিচারকের আদালত বর্জনের সময়সীমা বাড়ানো হয়। মফিজুর রহমান বাবুল,সাধারণ সম্পাদক,তানভীর ভূইয়া,সভাপতি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবি সমিতি। উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য এবং মিথ্যাচার করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর গত ৪ জানুয়ারি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও কর্মবিরতির কর্মসূচী পালন করে আদালতের কর্মচারীরা। এতে পরিস্থিতি উসকে উঠে।বিষয়টি মীমাংসার উদ্যােগ না নিয়ে জেলা ও দায়রা জজের ইন্ধনে আদালত কর্মচারীরা এই কর্মসূচী পালন করে। যাতে আইনজীবীদের সম্মানহানি করা হয়েছে অভিযোগ তুলে এবং আদালতের নাজির মোমিনুলের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বাণিজ্য চলছে উল্লেখ করে তাদের তিনজনের অপসারণ দাবিতে তিন কার্যদিবস আদালত বর্জন কর্মসূচি দেয় আইনজীবী সমিতি। তবে দাবি আদায় না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আরও তিন কার্যদিবস আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। সর্বশেষ ১২ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় আবারও তিন কার্যদিবস আদালত বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করে আইনজীবী সমিতি।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী