আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশের সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্র হচ্ছে থানা। এ জন্য সেবা প্রত্যাশীদের সমস্যা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা নিতে হবে। এ জন্য আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তদারকি বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে এক সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল এক সভা করেন আইজিপি। এতে সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ছাড়াও রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপারগণ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতিতে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সফল হয়েছে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম। মামলা তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, অপরাধ দমনে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে গৃহীত স্বচ্ছ নীতি নেওয়া হয়েছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।