ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া ও চাঁদা আদায়ের মহা উৎসব
  • আমতলী, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
  • ২০২৩-০১-১৮ ০০:৫৭:১০
বরগুনার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রুটের মধ্যে অবস্থিত ফেরিঘাট এখন চাঁদাবাজদের দখলে। এই ঘাট দিয়ে বরগুনা, বেতাগী, বরিশাল, খুলনা, পিরোজপুর, যশোর, পবনাসহ বিভিন্ন জেলার ভারী যানবাহন গুলো এই ঘাট দিয়ে চলাচল করে। বরগুনার আমতলী - পুরাকাটা ফেরিঘাটে যাবাহনের সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের নামে বেপরোয়াভাবে তোলা হচ্ছে চাঁদা। চাঁদাবাজদের হাত থেকে ভ্যান ও রিকশা চালকরাও রেহাই পাচ্ছে না। আমতলী ফেরিঘাটে গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেরিঘাট এলাকায় মোহাম্মদ আলী নামের এক লোক বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। এ সময় চালকদের হাতে ‘বরগুনা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন’ লেখা সম্বলিত ২০ টাকার একটি টোকেন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাক চালক সাইফুল অভিযোগ করে বলেন, এ পথে যাতায়াত করতে গেলে প্রতিবারই সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজনকে ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে চাঁদা আদায়কারী লোকজনের কাছে চরম নাজেহাল হতে হয়। চাঁদা আদায়কারী মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি। তিনি আরো বলেন ঘাটে পৌঁছানোর পর ফেরিতে উঠা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আগে উঠা নিয়ে প্রায়ই বাস-ট্রাক শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হতো। তাই সিরিয়াল মতো যানবাহন উঠানো হচ্ছে। এজন্য দশ টাকা করে নেওয়া হয়। বরগুনা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জব্বার আমতলী ফেরিঘাটে শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কাউকে ইজারা বা নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। আমার জানামতে ওখানে কোন চাঁদা উঠানো হয় না। এ ব্যাপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। ঘাটে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন একটি সংবাদ পত্রের মাধ্যমে আমি এই তথ্য জানতে পেরেছি এবং পরবর্তীতে তাদেরকে ডেকেছিলাম, তারা বলেছে খুব সকালে ও রাতে একটু ভাড়া বেশি নেওয়া হত, এখন থেকে তাও নেয়া হবে না মর্মে অঙ্গীকার করে। গাড়ির সিরিয়াল দিতে টাকা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি অবহিত নই, যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই আমি তাদেরকে ডেকে নিষেধ করে দেব। বরগুনা জেলা প্রশাসক মো.হাবিবুর রহমান বলেন, সিরিয়ালের ব্যাপারে কোন ইজারা দেয়া হয়নি। যদি এরকম অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী