ধর্ষণের পর হত্যা, এক সপ্তাহ পর ভাসমান লাশ উদ্ধার
- এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী
-
২০২৩-০১-১৩ ০৭:৫৩:১৬
- Print
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলা শিশু লামিয়ার মরদেহ এক সপ্তাহ পর উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মোহনায় জেলেরা ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
গত শুক্রবার রাতে রাঙ্গাবালীর চরআন্ডা গ্রামে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এগারো বছরের শিশু লামিয়াকে। পরে লাশ গুম করতে ফেলা হয় বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে। পরদিন এ ঘটনায় অভিযুক্ত আল-আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আল আমিন।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, শিশু লামিয়াকে ধর্ষণ এবং হত্যার পর লাশ গুম করতে নদীতে ভাসিয়ে দেয় আল আমিন। এ ঘটনায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সে। ঘটনার পর থেকে লাশ উদ্ধারের জন্য কাজ করেছে পুলিশ। অবশেষে সোনার চর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।