মহাসড়কের ডিভাইডার যেন মরণ ফাঁদ
- এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী
-
২০২৩-০১-১১ ০৪:৩০:৫২
- Print
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া এলাকায় নির্মিত রোড ডিভাইডারটিতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পরিবহন চালক, যাত্রী এবং এলাকাবাসী। আকারে ছোট হওয়াতে ঘন কুয়শায় পরিবহন চালকদের দৃস্টিগোচর না হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে এর উপর যানবাহন উঠে দুর্ঘটনা ঘটছে। ঝুঁকি বিবেচনা করে দ্রুত ডিভাইডারটি অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেতে রজপাড়া এলাকা থেকে সম্প্রতি নতুন একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সংযোগ সড়কটির মুখে মহাসড়কের উপরে প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়। অপ্রশস্ত মহাসড়কে অপেক্ষাকৃত নীচু ডিভাইডার নির্মান এবং সড়কের অন্য কোথাও ডিভাইডার না থাকায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জসিম উদ্দীন জানান, গত কয়েকদিনে প্রায় ১৫/২০টি যানবাহন ওই ডিভাইডারের উপরে উঠে দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতেও সাকুরা পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। কখন কি হয় সবাই আতঙ্কে আছে।
সবুজ, তারেক, মাজাহারসহ ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে চলাচল করা একাধিক পরিবহন চালক জানান, কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড কুয়াশা পড়ছে তাই একটু দুরের কিছুই দেখা যায়না। আর ডিভাইডারটি ছোট হওয়ায় গাড়িতে বসে এর অবস্থান বোঝা যায়না এ কারণে গাড়িগুলো ডিভাইডারটির ওপর উঠে যায়। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এটি ভেঙে ফেলা উচিৎ।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বলেন, স্থানীয় প্রশাসনসহ পুলিশের পক্ষ থেকেও ডিভাইডারে সংগঠিত দুর্ঘটনার বিষয় আমাদের জানানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিভাইডারের দুইপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করাসহ মার্ক করা হয়েছে। যেহেতু দুর্ঘটনা কমছে না সে কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত ডিভাইডারটি অপসারণের ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।