ঢাকা বুধবার, মে ৮, ২০২৪
আমতলীতে ২ মাসেও সংগ্রহ হয়নি ১ কেজি ধান, ব্যহত হতে চলছে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা
  • মাহতাবুর রহমান, আমতলী, বরগুনা
  • ২০২৩-০১-১০ ০৭:১০:৪২
চলতি মৌসুমে বরগুনা আমতলীতে সরকারি ভাবে আমন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন। সরকারিভাবে গত ১৭ নভেম্বর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হলেও এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা। তবে কর্মকর্তার দাবি, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী নন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা দরে এক হাজার ৩৯৭ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। এ উপজেলায় পৌরসভা সহ ৭ টি ইউনিয়নে মোট ৭৯৭ জন কৃষক গুদামে ধান দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এবার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন হলেও এখন পর্যন্ত এক ছটাক ধানও কিনতে পারেনি। সরকারি ভাবে প্রতি মণ ধান ১১শ ২০ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। বাজারে মূল্য বেশি হওয়ায় লোকসান দিয়ে কৃষকরা গুদামে ধান সরবরাহ করছেন না। একারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ধান চাল সংগ্রহে উপজেলা কমিটি থাকলেও তৃণমূলপর্যায়ে তাদের কোনো প্রচার প্রচারণা নেই। অনেক কৃষকরা জানেনা ধান দেয়ার নির্ধারিত সময়। আমতলী উপজেলা সদরের স্থানীয় বুধবারের বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে এবছর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ একহাজার পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত ধানের দাম উঠেছে। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমতলী উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে নানা ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। ধানের আর্দ্রতা পরিমাপের জটিলতা, খাদ্যগুদামের শ্রমিকদের বাড়তি টাকা না দিলে ধান নিতে গড়িমসি করা হয়। এসব হয়রানি ও ভোগান্তির কারণে কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী নন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারি খাদ্য গুদামে প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা দরে এক হাজার ৩৯৭ মেট্রিকটন ও ৪২ টাকা দরে এক হাজার ৮৯২ মেট্রিকটন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা যায়, রাফিয়া রাইস মিল,খাজা খানজাহান আলী রাইস মিল ও ফাতেমা রাইস মিল মালিকদের চুক্তিবদ্ধ হলেও বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় লোকসান দিয়ে তারা গুদামে ধান, চাল সরবরাহ করছেন না। দীর্ঘদিন ফিনান্সিয়াল পোস্টের প্রতিনিধি তথ্য সংগ্রহের জন্য কথা বলতে চাইলেও এড়িয়ে যান খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন এই কর্মকর্তা গুদাম না ভরে বিভিন্ন অসৎ উপায় অবলম্বন করে নিজের পকেট পূর্ণ করার দিকে বেশি জোর দিয়ে থাকেন। অবশেষে আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদামের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো.হুমায়ূন কবির জানান, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকরা বাজারে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান ক্রয় করা যাবে না বলে তিনি আশঙ্কা করেন। বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন চালের বাজার অস্থির করে তুলতেই কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যহত হচ্ছে সরকারি পদক্ষেপ জোরদার হচ্ছে সিন্ডিকেট। এসব অসাধু কর্মকর্তাদের যথাযথ জবাবদিহিতা অতঃপর বিচারের আওতায় আনা উচিৎ বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
দিনাজপুরে জমকালো আয়োজনে আইইবি’র ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
আগামীকাল দিনাজপুরের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ
দিনাজপুরে শুরু হয়েছে, ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৪
সর্বশেষ সংবাদ