লালমনিরহাটে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে বিপুল হোসেন (২০) নামে আরও এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। রোববার ভোর রাতে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থল বন্দর জিরো পয়েন্ট বাঁধেরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিপুল হোসেন পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের রহমতপুর এলাকার রশিদুল ইসলামের পুত্র। এ নিয়ে গত ২ মাসে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে ৮ জনের মৃত্যু হলো।
স্থানীয়রা জানান, ওই সীমান্তের ৮৪২ নং পিলার দিয়ে ভারতীয় গরু আনার চেষ্টা করেন বিপুল হোসেনসহ একদল গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয় বিপুল হোসেনসহ কয়েকজন। পরে তার সঙ্গীরা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিপুল হোসেনের মৃত্যু ঘটে।
সর্বশেষ গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে সাদিকুল ইসলাম সাদিক ও নাজির হোসেন নামে আরো দুই বাংলাদেশী নিহত হয়। এর আগে গত ৯ নভেম্বর জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি সীমান্তে ভারতীয় গরু আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয় ওয়াসকরুনী ও আয়নাল হক নামে দুই বাংলাদেশী। গত ২৭ নভেম্বর হাতীবান্ধার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকড়ি সীমান্তে বিএসএফ’র নিযার্তনে নিহত হয় সাদ্দাম হোসেন নামে এক গরু ব্যবসায়ী। গত ১৪ ডিসেম্বর জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র নিযার্তনে সীমান্তে নিহত হয় ভারতীয় এক গরু ব্যবসায়ী। তার এক দিন পর ১৫ ডিসেম্বর ওই উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র নিযার্তনে শাহাদাত হোসেন নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়। এ নিয়ে গত ২ মাসে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে ৮ জনের মৃত্যু হলো।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র ৬১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বিপুল হোসেন নামে এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে।