ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বাড়ছে
  • সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর
  • ২০২২-১২-২৯ ০৭:৩৫:০৩

দিনাজপুরে জেলা সদরের ফাজিলপুরে বিভিন্ন মাঠে এই গ্রীষ্মকালীন আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ বেশি হয়েছে।  ফলন ভাল ও দাম বেশি পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে চাষীরা। এই পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষক। মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজ চাষে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্য চাকা। পেঁয়াজ চাষে কৃষককে সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ। 

জেলায় ৬ শত হেক্টর জমিতে আগাম জাতের  পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এ সব পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে  এন -৫৩, তাহেরপুরী ও ফরিদপুরী জাতের পেঁয়াজের চাষ বেশি হয়েছে। এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ  জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে বীজ বোপন করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এই পেঁয়াজ বাজারজাত করা হচ্ছে।  বাজারে এই পেঁয়াজের চাহিদা পাতাসহ ব্যাপক থাকায় চাষীদের মাঠ থেকে বিক্রি করতে পারছেন চাষীরা। চাষীরা মাঠ থেকেই ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারছেন।  
  
ফাযিলপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আনোয়ার হেসেন বলেন, এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ ৩৩ শতক জমিতে চাষ করে দুই লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন।  আগামীতেও এ জাতের পেঁয়াজ চাষ করতে জমির পরিধি আরোও বাড়িয়ে দিবেন। পেঁয়াজের ফলন দেখে অনেকেই এ জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী।

একই গ্রামের হরিবর রহমান জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৩০ শতক জমিতে দেশীয় তাহেরপুরী পেঁয়াজ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন । অনেকেই আমার পেঁয়াজ চাষ দেখে আগ্রহ হচ্ছে। বাজারে পাতাসহ পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জমিতে থেকেই ব্যবসায়ীরা পাতাসহ পেঁয়াজ ক্রয় করে দিয়ে যাচ্ছেন । জমিতে থেকেই ৩০/৩২ টাকা কেজি দরে পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভভান হচ্ছেন। 

দিনাজপুর ফাযিলপুর ইউপি উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা আবু বোরহান উদ্দীন বলেন, এই এলাকাটি  তুলনা মুলক ভাবে উচু হওয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযুক্ত। চলতি বছরের জুলাই ও সেপ্টম্বর মাসে কৃষি বিভাগের প্ররোদনা হিসাবে এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজ ও সার  ও কীটনাশক সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে এই জাতের পেঁয়াজ ৫ থেকে ৬ টায় এক কেজি হওয়ায় চাষীরা লাভবান হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন  গ্রীষ্মকালীন জাতের  পেঁয়াজের চাষ ভাল  হওয়া ও দাম বেশি পাওয়ায় প্রতি বছর আগাম জাতের পেয়াজ আরোও বৃদ্ধি পাবে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর  উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুজ্জামান বলেন চাষীরা নিজস্ব বীজ ও সরকারী ভাবে পেঁয়াজের বীজ বিনামুল্যে সরবরাহ করায় জেলায় পেঁয়াজ চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জাতের পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১১০ দিনে মধ্যে বিঘায় ১২০ থেকে ১৫০ মন উৎপাদন হয়। গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ প্রতি বিঘায় চাষ করতে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়। লাভবান হচ্ছে ২ লক্ষাধিক টাকা। আরোও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ চাষ আরোও বৃদ্ধি পাওয়ার কার্যক্রম চলছে।

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত