ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবুতর উড়ানোর ১৫২ প্রতিযোগিকে ক্রেষ্ট-ট্রফি
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২২-১২-২৮ ০৯:১৪:৫৫

শখে কবুতর পালন করে ওরা। সৌখিন কবুতর পালনকারীরা সংগঠিত হয়ে আয়োজন করে প্রতিযোগিতার। তেমনই একটি সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসার এন্ড হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাব। ২০১৬ সালে ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। জেলায় ২০২১ ও ২০২২ সালে গ্রীষ্মকালীন কবুতর উড়ানোর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে ১৫২ জন।  মঙ্গলবার রাতে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসার এন্ড হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাব সভাপতি মানিক মিয়ার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি নূরে আলম,খুলনা ফাইভ-টি পিজিয়ন ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মন্নাফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রসক্লাবের সাবেক তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসার এন্ড হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাজী রিমন, বিজয়নগর রেসার এন্ড হাই-ফ্লাইয়ার পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি সুমন রেজা। অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী ৬৭ জন এবং ২০২২ সালে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী ৮৫ জনকে ক্রেষ্ট  এবং প্রতিযোগীদের মধ্যে ২ জন চ্যাম্পিয়ন ও ৪ জন রানার আপকে ট্রফি প্রদান করা হয়। ২০২১ সালের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন মো: রায়হান। তার কবুতর আকাসে উড়ে ৮ঘন্টা ৪৮ মিনিট। আর ২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হন রাকিব আহসান মেহেদী। তার কবুতরের উড়ার সময় ৭ঘন্টা ৪৮ মিনিট। ২০২১ সালে প্রথম রানার আপ মো: নাহিদুল ইসলাম বাবু,২য় রাকিব আহসান মেহেদী,৩য় মিয়া মাসুক,৪র্থ মো: আলামগীর হোসেন,২০২২ সালে প্রথম রানার আপ নাহিদুল ইসলাম বাবু,২য় রানার আপ মিজান মিয়া সনু,৩য় হারিছুজ্জিমান সরকার,৪র্থ কাজী রিমন। তাদের প্রত্যেকের কবুতর ৫ঘন্টা থেকে সাড়ে ৭ ঘন্টা আকাসে উড়ে।

আয়োজকরা জানান,বছরের এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী একেকজন তাদের নিজ বাসা থেকে পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে কবুতর আকাসে উড়িয়ে দেন। এর আগে প্রতিযোগি কবুতরের ডানায় ক্লাবের সীল দেয়া হয়।

পরে কার কবুতর কতো সময় ধরে আকাসে উড়লো সেই সময় ধরে প্রতিযোগীতার বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ী নির্ধারন করা হয়। আয়োজকরা আরো জানান,সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে কবুতর উড়াতে হয়। কবুতর ফেরার সময় থাকে সন্ধ্যা অর্থাৎ মাগরিবের আযান পর্যন্ত। এসময় পর্যন্ত প্রতিযোগিতার জন্যে উড়ানো কবুতরটিকে চোখের দৃষ্টি সীমার মধ্যে রেখে পর্যবেক্ষন করা হয়। মাগরিব পর্যন্ত কবুতরটি নিচে নেমে না এলে ডিসকোয়ালিফাইড হিসেবে গন্য করা হয়।

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী