চিনাইর মেধাবৃত্তিতে ২০৬৩ পরীক্ষার্থী
- মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
-
২০২২-১২-২৬ ১১:৩৬:৩৫
- Print
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের চিনাইরের শিশু মেধাবৃত্তি শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। এবছর জেলার ২০৬৩ জন শিশু এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসে এই শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল ১১ টায় চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ এবং আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ২০০৪ সালে এই বৃত্তি চালু করেন। প্রথম মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় ১৭টি স্কুলের ২৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পরিচালিত এই মেধাবৃত্তি সময় পরিক্রমায় জেলার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।
মেধাবৃত্তির আয়োজকরা জানান, বিষয় ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের তত্বাবধানে সিলেবাস প্রণয়ন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়। এরপর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মেধা যাচাই করে ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেনী পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫ জন এবং পঞ্চম শ্রেনী থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন শিক্ষার্থী প্রেরণ করতে পারেন। অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীর ৫ পার্সেন্ট টেলেন্টপুল এবং ১০ পার্সেন্ট জেনারেল গ্রেডে বৃত্তি পেয়ে থাকে। এছাড়া ৫ম শ্রেনীতে সর্বোচ্চ অর্থাৎ ৯০ পার্সেন্টের বেশী নাম্বারধারী ১জনকে মোকতাদির চৌধুরীর নামে চালু বিশেষ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এই এওয়ার্ডের মুল্য ১২ হাজার টাকা।
গতকাল পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মেধাবৃত্তির সভাপতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আসা হাজার হাজার অভিভাবকদের বসার জন্যে আলাদা প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়।
সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী অভিভাবক প্যান্ডেলে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে স্বাক্ষাত করে খোজখবর নেন। এসময় বৃত্তির প্রশংসা করেন অভিভাবকরা। বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরবর্তী ২ মাসের মধ্যে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান এবং শিশু মেলার আয়োজন করা হয়।