চাহিদার তুলনায় আমদানি বাড়ায় মাত্র দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকাড়িতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা করে। দুদিন পুর্বে বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৭ থেকে ২৮টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২২ থেকে ২৩টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিন্ম আয়ের মানুষজনের মাঝে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় মোকামে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। যার কারনে আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে বিভিন্ন মোকামে পাঠাতাম। কিন্তু চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় গতসপ্তাহের শেষের দিকে ভারতীয় পেঁয়াজের উদ্ধমুখি হতে শুরু করে। সপ্তাহের শুরুতে যে পেঁয়াজ ২২টাকায় নেমে এসেছিল তা বাড়তে বাড়তে ২৮টাকায় উঠে গিয়েছিল। বাড়তি দামের কারনে পেঁয়াজ কিনতে যেমন পুজি বেশী লাগছিল তেমনি দাম উঠানামা করায় পেঁয়াজ কিনতেও ভয় পাচ্ছিলাম। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথমদিন থেকেই পেঁয়াজের দাম আবারো কমতে শুরু করেছে। দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫টাকা করে কমেছে ২৭ থেকে ২৮টাকার পেঁয়াজ ২২/২৩টাকায় নেমেছে। বন্দরে পেঁয়াজের দাম কমায় আমাদের কিনতে যেমন সুবিধা হচ্ছে তেমনি মোকামে পাঠাতেও সুবিধা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি অব্যাহত রেখেছিলেন বন্দরের আমদানিকারকগন। কিন্তু হঠাৎ করে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দেশের বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। এতে করে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় গতসপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বাড়তি হতে শুরু করে। ভারতীয় পেঁয়াজের বাড়তি সেই চাহিদাকে ঘিরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কিছুটা বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। এছাড়া ডলার সংকটের কারনে পুর্বে ব্যাংকগুলো এলসি না দেওয়ায় সকল আমদানিকারক পেয়াজ আমদানি করতে পারছিলেননা। বর্তমানে ব্যাংকগুলো এলসি দেওয়া শুরু করেছেন এতে অনেক আমদানিকারক পেয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছেন যার কারনে বন্দর দিয়ে পেয়াজের আমদানি বেড়েছে। সেই সাথে দেশীয় পেঁয়াজের দাম যেটি উদ্ধমুখি হয়েছিল আবারো তা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এতে করে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে তবে পেঁয়াজ আমদানির পরিমান খানিকটা বেড়েছে। গতসপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার যেখানে বন্দর দিয়ে ১২টি ট্রাকে ৩৩৪টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল বর্তমানে তা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিন আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে২১ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।