ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের স্মৃতি চিহ্ন রক্ষার দাবী
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২২-১১-২৬ ০৩:৪৭:৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কালিকচ্ছে ব্রিটিশবিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের আপসহীন বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের বাড়ির স্মৃতি চিহ্ন মুছে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষণ পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন,বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা পীযুষ কান্তি আচার্য,জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন,দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাজিদুল ইসলাম কবি রোকেয়া রহমান কেয়া সহ-সভপতি উদীচী,নির্বাহী সদস্য সাহিত্য একাডেমী। মনির হোসেন,ফেরদৌস রহমান,শামীম আহমেদ,মোমিনুল আলম বাবু,মোজাম্মেল হক পাঠান প্রমুখ।

বক্তারা ব্রিটিশবিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের আপসহীন বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের বাড়ি আড়াল করে বহুতল ভবন নির্মান কাজ বন্ধ করার এবং সেখান থেকে নির্মান সামগ্রী সরিয়ে নেয়ার দাবী জানান। তারা বলেন- ভারতের উল্লাসকর দত্তের নামে রাস্তা সহ অনেক কিছুর নামকরন থাকলে দেশে তার জন্মভিটার স্মৃতি মুছে ফেলা হচ্ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যােগ না থাকা উদ্বেগের।

অগ্নিযুগের এই অগ্নিপুরুষের আত্মত্যাগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তার জরাজীর্ণ বাড়ির স্মৃতি সংরক্ষণ জরুরি বলে মনে করেন জেলার সংস্কৃতিসেবীরা। জরাজীর্ণ একটি কাচারি ঘরটিই বিপ্লবী উল্লাস কর দত্তের সর্বশেষ স্মৃতি। সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদুর রহমান ক্রয় সূত্রে বাড়িটি তার বলে দাবি করে নব্বই দশকের শুরু থেকে  বাড়িটি তার দখলে রেখেছেন।‌ উল্লাসকরের কাচারি ঘর ঘেঁষা উত্তর দিকের ভবনটিতে সাবেক এই চেয়ারম্যান পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। শতাব্দী প্রাচীন এই বাড়িটি অনেক বার ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি বাড়িটির সামনের অংশে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য গর্ত করে ঢালাই কাজ শুরু করেন চেয়ারম্যান।

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী