দুই বছরের মধ্যে ১১ দেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। এর কোনোটি হবে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার চুক্তি। আর কোনোটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ পরবর্তী ঝুঁকি এড়াতে নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। যার শুরু হবে আগামী মাসেই, ভুটানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে।
অর্থনীতি কিংবা বাজার- সব হিসাবেই বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ভুটান। এরপরও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে এগিয়ে ভুটানই। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে সাড়ে চারশ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। যার ৯০ ভাগই ভুটানের; ফল, নির্মাণ সামগ্রী আর রাসায়নিক রপ্তানি করে। আর বাংলাদেশ থেকে গেছে, তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য, ওষুধসহ হাতে গোনা কিছু পণ্য।
বাণিজ্যের পরিমান বাড়াতে অগ্রাধিকারমূলক চুক্তি- পিটিএ করতে যাচ্ছে দু'দেশ। যার আওতায়, বাংলাদেশের একশ পণ্য ভুটানে প্রবেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। একই সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে আসবে ৩৪ ভুটানি পণ্য।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির তালিকার এরপরেই আছে নেপাল আর ইন্দোনেশিয়ার নাম। প্রথম পর্যায়ে অন্তত ১৫টি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে সরকার। যেখানে সম্ভাবনাময় হিসেবে, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ ১১টি দেশকে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এখন চলছে দ্বিপাক্ষিক শর্ত মূল্যায়নের কাজ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, বিশ্বের ১৯৮টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রয়েছে বাংলাদেশের। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে, যার বেশিরভাগেই বর্তমানে মিলছে শুল্কমুক্ত সুবিধা।