ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
অভাবের তাড়নায় দুই দিনের বাচ্চা বিক্রি বাবার, উদ্ধার করলো পুলিশ
  • সানোয়ার আরিফ, রাজশাহী
  • ২০২২-১১-২০ ০৮:৫৯:৫৩

অভাবের তাড়নায় রাজশাহীর এক ব্যক্তি তাঁর দুই দিন বয়সী কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। পরে অভিযোগ পেয়ে আজ রোববার ওই শিশুটির বাবা এবং শিশুটির ক্রেতাকে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানা-পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেছে।

ওই বাবার নাম মো. রহিদুল (৪০)। রাজশাহী নগরীর সিলিন্দা এলাকায় তার বাড়ি। পেশায় তিনি একজন দিনমজুর। গত ১২ নভেম্বর তিনি তাঁর মেয়েকে ২৪ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। শুক্রবার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। পরে তাকে থানায় নেওয়া হয়। এছাড়া বাচ্চার ক্রেতাকেও থানায় নেওয়া হয়েছে। তার নাম শাহানুর রহমান।

পুলিশ জানিয়েছে, রহিদুলের আরও এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে। তাদের বয়স ১০-১২ বছর। গত ১০ নভেম্বর রহিদুলের স্ত্রী জান্নাতুল খাতুন নগরীর লক্ষীপুর এলাকার কেয়ার নার্সিং হোম নামের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে আরও একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এই বাচ্চাটিকেই নার্সিং হোম থেকেই শাহানুরের কাছে বিক্রি করে দেন রহিদুল। এর পর থেকেই জান্নাতুলের স্ত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করছিলেন। তা দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি বিষয়টি থানায় জানান। এরপরই প্রথমে রহিদুল ও পরে শাহানুরকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
থানায় রহিদুল জানিয়েছেন, অভাবের তাড়নায় তিনি বাচ্চা বিক্রি করে দেন। এতে তিনি ২৪ হাজার টাকা পান। আর শাহানুর জানিয়েছেন, তাঁর বোনের কোন সন্তান নেই। তাই বোনের জন্য তিনি বাচ্চাটি কেনেন। কিন্তু দত্তক নেওয়ার মতো করে কোন কাগজপত্র করে না দেওয়ায় তিনি বাচ্চাটি নিজের কাছে রাখেননি। তাঁর অন্য এক আত্মীয়কে বাচ্চাটি দিয়েছেন। ওই আত্মীয়ের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে। পরে দুপুরে বাচ্চাটি উদ্ধার করে রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি দল।

কেয়ার নার্সিং হোমের পরিচালক গোলাম আশরাফ সরকার জানান, নার্সিং হোমেই বাচ্চার বাবা বাচ্চা বিক্রি করেছেন তা তিনি আগে জানতেন না। তবে বিষয়টি তিনি পরে শুনেছেন।

নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পুলিশ বাচ্চাটাকে উদ্ধার করেছে।এখন বাচ্চার মায়ের মতামত পেলেই মামলা হবে।

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী