ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
  • মোঃ মামুন শাহ পিংকু, পলাশ (নরসিংদী)
  • ২০২২-১১-১৯ ১০:১২:৫৫

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মুদির দোকান ও কাঁচা বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে আসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সকল  পেশার মানুষ। বাজারে শীতের কিছু সবজি আসতে থাকলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজি এবং অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের দাম। সাবজির দাম-এর যেন জাবাবদিহিতার কেউ নেই। এমনিতেই পরিবারের সদস্যদের চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে এসব শ্রেণি পেশার মানুষ। সীমিত আয়ের মানুষ নিতঃপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সামগ্রী চাহিদামতো কিনতে না পেরে অসহায়ত্ব বোধ করছে। নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয় ভাবে বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছে পলাশ উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ। কোনো কোনো পণ্যের দাম আকাশচুম্বী, কিছু দিন আগেও যেসব পণ্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল তা এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। 

বিভিন্ন বাজারে সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়, চালের মধ্যে নাজিরশাইল, উনত্রিশ, দেশীয় মোটা চাল এবং আতপ চালসহ অন্য চাল প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা করে বেশি দামে বিক্রি করছে খুচরা ব্যাবসায়ীরা, খোলা আটা ৬০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৭০ টাকা এবং সবজির বাজারেও আগুন। পলাশ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবাজির দাম অনেক বেশি, যা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যেমন, ভরবটি ৮০ টাকা, সিম ১০০ টাকা, ভেন্ডি ৮০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০-৪০ টাকা, লালশাক ও পুইঁশাক ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, জিঙা ৬০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, লেবু ৪০ টাকা হালি, লাউ ৬০ টাকা পিস, পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ৭০ টাকা, কাচাঁমরিচ ১০০ টাকা, আদা ১০০ টাকা কেজি। ডিম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালি ও কক এবং দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ প্রতি কেজি রুই ৩০০ টাকা, গুলশা ৫০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৫০০ টাকা, টাকি মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০-২০০টাকা, সিলভার কাপ ১২০-১৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, ইলিশ ১০০০-১৮০০ টাকা, শোলমাছ ৫০০-৬০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এ পরিস্থিতিতে বাজার করতে আসা ক্রেতারা অভিযোগ তুলেছে যে আমাদের আয় না বাড়লেও প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এখন এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে যে এভাবে দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে। পলাশ নতুন বাজারের এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে স্ত্রী সন্তান নিয়ে এখন বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এক হাজার টাকারও চাহিদা অনুযায়ী বাজার করা যায় না। 

খানেপুর বাজারের রাসেদুল ইসলাম বলেন, চাহিদামতো এখন আর বাজার করতে পরি না আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী বাজার করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ঘোড়াশাল পৌরসভার সবজি ব্যাবসায়ী হরিন মিয়া বলেন, সবজির দাম এখন আগের চেয়ে একটু বেশি, এখন দেশের যে অবস্থা তাতে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম একটু বৃদ্ধি পেযেছে তা কিন্তু এটা সাময়িক। সামনেই শীতকালীন সবজির মৌসুম তাই আশা করছি দ্রুতই সাবজির দাম মানুষের ক্রয় ক্ষতার মধ্যে চলে আসবে। পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে তা সত্য তবুও সবজির বাজার ক্রয় ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রয়োজনে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে।

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত