ঢাকা সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
দিনাজপুর হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষকের উপর হামলাকারী অফিস পিয়ন তাজুলের সব্বোর্চ শাস্তির দাবি
  • সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর
  • ২০২২-১১-১৭ ১১:৩৩:২৭

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যানসহ পাঁচ শিক্ষকদের উপর হামলাকারী কর্মচারী তাজুল ইসলামের সুষ্ঠ বিচার ও সব্বোর্চ শাস্তি নিশ্চিতকররসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল ছাত্রছাত্রীরা ।

মানববন্ধন শেষে ছাত্রছাত্রীরা হাবিপ্রবি রেজিষ্ট্রার বরাবরে এই দাবির কপি পৌছে দেয় । 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্মুখ সড়কে ঘন্টা ব্যাপি  এই মানববন্ধন 
কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রছাত্রীরা । 

ছাত্রছাত্রীদের দাবি সমুহ হল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  শিক্ষকদের উপর কর্মচারী তাজুলের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে  সব্বোর্চ বিচার নিশ্চিত করতে হবে । পশুরুপী তাজুলকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে যেন ভবিষ্যত এর জন্য তা নজির হয়ে থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ কখনো যেন এমন জঘন্য ঘটনার পূনরাবৃত্তি না করে । অভিযুক্ত তাজুলকে স্থায়ীভাবে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করতে হবে । তিন কার্য দিবসের মধ্যে ঘটনার তদন্ত কাজ শেষ করতে হবে এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে দাবি তিন কার্যকর করতে হবে । হামলাকারী কর্মচারী  তাজুলকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আজীবন নিষিদ্ধ করতে হবে । স্ট্যাডি ট্যুরের ক্ষতিপূরন দিতে হবে । বিচার নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে বিভাগের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে হবে । 

গত বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অফিস সহায়ক ( পিয়ন) তাজুল ইসলাম অতর্কিতভাবে একই বিভাগের শিক্ষকের উপর হামলার চালিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত যখম ও রক্তাক্ত করে।

আহত শিক্ষকেরা এখন দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহত শিক্ষকেরা আগের তুলনায় সুস্থ রয়েছেন । 

হাবিপ্রবি রেজিষ্ট্রার ড. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্বারকে অভিযুক্ত কর্মচারী  তাজুল ইসলাম কে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন । তিনি বলেন, অভিযুক্ত কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে  এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করার জন্য প্রফেসার ড. কামাল উদ্দীন সরকারকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হবে। 

আহত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান নাম সহযোগী অধ্যাপক রোকনুজ্জামান রনি, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন, প্রভাষক নির্মল চন্দ্র রায়, প্রভাষক হারুনুর অর রশিদ এবং সদ্য যোগদানকারী প্রভাষক মাহবুব রহমান।

আহত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক রোকনুজ্জামান রনি বলেন, গত বুধবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সফরের কথা ছিল। এই শিক্ষা সফরে ছাত্রছাত্রীদের সাথে দুজন শিক্ষকও  যাওয়ার কথা ছিল। তাই সকাল নয়টায় সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকেরা উপস্থিত হলেও অফিস পিয়ন তাজুল ইসলাম বিলম্ব করায় আমি নিজেই অফিস পিয়ন তাজুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে তাড়াতাড়ি  অফিসে আসার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। কিন্তু সে মোবাইলেই আমার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং কথা বলার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মোবাইলের লাইন কেটে দেয়। কিছু সময় পর পিয়ন তাজুল ইসলাম অফিসে আসলে তাকে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে প্রথমেই সদ্য যোগদানকারী শিক্ষক মাহবুব রহমানের মাথায় পানি খাওয়ার গ্লাস দিয়ে আঘাত করে। সে রক্তাক্ত অবস্থায় অফিস কক্ষে পড়ে যায়। আমি নিজে এগিয়ে আসলে আমাকেও গ্লাস দিয়ে আঘাত করে আমার ঠোট ফেটে যায়। আমরা চিতকার করতে থাকলে অন্যান্য কক্ষ থেকে শিক্ষকেরা এগিয়ে আসলে আরোও তিন শিক্ষকের মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকেসহ আহত শিক্ষকদেরকে উদ্ধার করে প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে  মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।  শিক্ষকদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দিনাজপুরে আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

গাজীপুরে বিনামূল্যে নারীদের ল্যাপটপ বিতরণ
বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজের জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
ঝালকাঠি নার্সিং কলেজ  অতিথি শিক্ষকের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
সর্বশেষ সংবাদ