ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রের চাল বিতরণে অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২২-১১-১৫ ০৭:০১:১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী (ওএমএস) ও ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। সর্বশেষ রোববার (১৩ নভেম্বর) উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক কাজী আজিজুল ইসলাম জেলা প্রশাসক বরাবর এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

কাজী আজিজুল ইসলাম তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, তিনি একজন সুলভ মূল্য কার্ডধারী, কার্ড নং- ৩১০। সরকারের নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে নিয়মিত চাল পেতেন । গত ৩১ আগস্ট সরকারী ভাবে সুবিধা ভোগীদের তালিকা অনলাইন করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক তিনি সহ আরো তালিকাভুক্ত সকলে অনলাইন করার জন্য চেয়ারম্যানের অফিসে গেলে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মারুফ তাদের অনলাইন করতে দেননি। চেয়ারম্যান সুলভ মূল্যের ৮০০জন কার্ডের সুবিধা ভোগীদের মধ্যে তার পছন্দ মতো ৪৬৯ জনের অনলাইন ব্যবস্থা করে দেন। আর আজিজুল ইসলামসহ বাকী ৩৩১জন সুবিধা ভোগীদের অনলাইন করে দিবেন না বলে জানিয়ে দেন চেয়ারম্যান। অনলাইন না হওয়ার কারণে তারা বিগত ৩ মাস যাবত সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর সুলভ মুল্যের কার্ডধারী সুবিধা ভোগী হওয়া স্বত্বেও ভুক্তভোগীরা চাল পাচ্ছেন না। এই বিষয়ে চেয়ারম্যানকে অনেক বার অনুরোধ করে বুঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, চাল না দিলে হতদরিদ্র পরিবার গুলোর ভরন পোষন যোগান দেওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আর চাল দিবে না মর্মে সাফ জানিয়ে তাড়িয়ে দেন।

এছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভিজিডি কার্ডের সুবিধার ৩০ কেজি করে চাল গত ১০ মাস যাবত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চলতি নভেম্বর মাসের ২ তারিখে একই ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের জুমা আক্তার ও মোছা. মায়া রানী নামের দুই নারী জেলা প্রশাসক বরাবর চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মারুফের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, চলতি বৎসরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মারুফ ৩০ কেজি চাল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে অনেকবার চাল দিতে অনুরোধ করে বুঝানোর চেষ্টা করা হলে, তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে আর চাল দিবেন না মর্মে সাফ জানিয়ে বিদায় করে দেন। এই অবস্থায় পরিবারের ভরণপোষণে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করেন। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসককের নিকট আবেদন করেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মারুফ  বলেন, 'অভিযোগ গুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওএমএসের যে তালিকা অনলাইন করা হচ্ছে, তা ইউপি সদস্যরা আইডি কার্ডসহ আনুষঙ্গিক কাগজ নিয়ে ডিজিটাল সেন্টারে অনলাইন করছেন। আমি কিছু করছি না।'

এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, 'ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের বিষয়টি নবীনগরের ইউএনও'কে দেখতে বলা হয়েছে।'

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক  বলেন, 'ডিসি স্যার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ গুলোর বিষয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত