ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা লেন্স নায়েক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সন্তান ও নবীনগর পৌরসভার কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ ও বিভিন্ন পত্রীকায় সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অনুষ্ঠিত।
শুক্রবার বিকালে নবীনগর ডাকবাংলোতে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন এর পালিত পিতা আব্দুর রহিম, মাতা সুমাইয়া বেগম, স্বামী আব্দুল কুদ্দুস, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা ওহিদুজ্জামান এর মেয়ে। আমি ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে জন্মগ্রহণ করি। পরবর্তীতে আমার যখন বয়স ৩ বছর তখন আমার মায়ের পুনরায় বিয়ে হয় আব্দুর রহিমের সাথে। সেই পরিবারে আমি ছোট থেকে মানুষ হয়েছি। আমার পালিত বাবা আমাকে শিশুকালে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় এবং আমি পড়াশোনা করার সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার বাবার নাম ভুলবশত পালিত বাবার নাম লিখে দেন। আমার এনআইডি কার্ডে বাবার নাম শহিদ ওয়াহিদুজ্জামান লেখা রয়েছে। সার্টিফিকেটে ব্যবহৃত পিতার নাম উল্লেখ রয়েছে আমার পালিত পিতার নাম। যা আমি ইতিমধ্যে সংশোধনের আবেদন করেছি।
একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল অর্থাৎ তিলকে তাল বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল নামে একজন ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ আনে যে আমি নাকি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এসময় তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের প্রকৃত সত্য বের করে সংবাদ করারও আহব্বান জানান।
উল্লেখ্য, নবীনগর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের পিতার নাম জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।