দুর্ভোগ কমাতে খুলে দেয়া হলো বিআরটির উড়াল সড়ক
- হাসিব খান, গাজীপুর
-
২০২২-১১-০৬ ০৫:২৪:৩১
- Print
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট উড়াল সড়ক এবং টঙ্গী সেতুর একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকল্প পরিদর্শনে আসার পর উড়াল সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়। এতে দীর্ঘদিনের যানজটের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে আশা যাত্রী ও পরিবহন চালকদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের দুর্ভোগ কমাতেই একটা লাইন খুলে দেয়া হলো। আসছে জুনের প্রথম সপ্তাহে পুরো উড়াল সড়ক উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ১০০টি সেতু ভার্চুয়্যালি উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি। এছাড়া যানজট নিরসনে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের জন্য জিএমপি কমিশনারের প্রশংসা করেন তিনি।২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি লেনের সাড়ে চার কিলোমিটার উড়াল সড়কে। বাকি ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লেন মাটির সমতলে নির্মিত হচ্ছে। মাঝে রয়েছে ১৭৫ মিটার দীর্ঘ ১০ লেনের টঙ্গী সেতু। সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। বিআরটিএ এ অংশের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মহিরুল ইসলাম খান জানান, উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক দুই কিলোমিটার। এর দুইলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী যান চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছেন। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। ফ্লাইওভার ও সেতুর দুইলেন যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এখন সড়কে যানজট অনেকটা কমে যাবে। মানুষ দ্রæত তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে। এছাড়া বাকি অংশের কাজও খুব দ্রæত শেষ করে তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তিনি আরও জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে।বাসের জন্য বিশেষায়িত লেন তথা বিআরটি প্রকল্পটি ২০১২ সালে সরকারের অনুমোদন পায়। এ পদ্ধতিতে সড়কের মাঝে দুইলেনে চলবে শুধু বিশেষায়িত বাস। ২০১৬ সালে বিআরটি চালুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। নতুন চালু হওয়া ফ্লাইওভার ও সেতুর দুইলেন টঙ্গী থেকে ঢাকামুখী যানবাহন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। টঙ্গী সেতুর ঢাকামুখী পুরনো সেতু অপসারণ এবং সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী যানবাহনকে পুরনো সেতু ব্যবহার করতে হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সড়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী , সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মঞ্জুর হোসেন, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রমুখ।