ঢাকা শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
মহাসমাবেশ ঘিরে বরিশাল বিএনপির মাঝে চাঙাভাব
  • বরিশাল প্রতিনিধি
  • ২০২২-১১-০২ ১১:০৮:৫৭
আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির নেতৃকর্মীরা। সমাবেশকে ঘিরে তাদের মাঝে চাঙাভাব বিরাজ করছে। এরই মধ্যে নগরের সদর রোডস্থ বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানের আশপাশের সড়কগুলোতেও প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার টাঙানো হয়েছে। যদিও সমাবেশের প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে বরিশাল নগর, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর উপজেলায় হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। তারপরও প্রচার অভিযান থেমে নেই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা ধরে লিফলেট বিতরণ এবং খণ্ড খণ্ড সভাও করছেন তারা। বুধবার (০২ নভেম্বর) শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে মঞ্চ তৈরিসহ মাঠ গোছানোর কাজ এগিয়ে নিয়েন কর্মীরা। তবে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিভাগের অন্য জেলা থেকে নেতাকর্মীদের আগমন নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন, প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে প্রস্তুত রয়েছেন। মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য সরকারি দল এবং প্রশাসন যৌথভাবে নানান ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিল। তবে সেইসব অপতৎপরতা মোকাবিলা করেই এক একটি বিভাগীয় মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। বরিশালের এই মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে ইতোমধ্যেই আমরা বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। পরিবহন মালিক সমিতির নাম ব্যবহার করে কৌশলে ৪ ও ৫ নভেম্বর একটা ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক আকার-ইঙ্গিতে বলেছেন, যাতে আমরা বুঝতে পেরেছি মহাসমাবেশের জনসমাগম ঠেকানোর জন্য এই কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। এরইমধ্যে বরিশাল, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার অবস্থাও অত্যন্ত ভয়াবহ। বরিশালের বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হাসান বলেন, অন্য জায়গার মতো বরিশালেও সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বেলস পার্কে সমাবেশ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আজ দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত, নেই আইনের শাসন, নেই মানবাধিকার। জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে আজ এজন্যই সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে গণসমাবেশ। এটা বিএনপির জনসভা না, এটা বিএনপি এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে গণসমাবেশ, যা মহাসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে। যেখানে অংশ নিতে মানুষ বিভাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে বরিশাল শহরে অবস্থান নেওয়া শুরু করেছে। সবার সহযোগিতায় মহাসমাবেশ সফল হবে এবং ৫ নভেম্বর বরিশাল হবে জনগণের শহর।
 গণহত্যা-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে বিএনপিতে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছরেও সংস্কার করতে পারেনি: রিজওয়ানা