সংস্কার না হওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এখন জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে সেখানকার দৈনন্দিন কার্যক্রম। একতলা ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের পলেস্তার খসে খসে পড়ছে প্রায়ই। কক্ষগুলোর মেঝেতে ফাটল ধরে অধিকাংশ জায়গায় উঁচুনিচু হয়ে পড়েছে । ফাটলে বাসা বেঁধেছে পোঁকামাকড় মাকরশাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কিটপতঙ্গ। নোনা ও স্যাঁতসেঁতে ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অফিসের মূল্যবান দলিলপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
জানা যায়, প্রায় ত্রিশ বছর ধরে এই ভবনেই সাব-রেজিস্ট্রির কাজ পরিচালিত হয়ে আসছে। অফিসটি বহু বছরের পুরাতন। পুরাতন জ্বরাজ্বীর্ণ ভগ্নদশা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে বছরের পর বছর ধরে সাব-রেজিস্ট্রির অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল রেজিস্ট্রির কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের এমন ভগ্নচিত্র । স্হানীয়দের তথ্য সূত্রে জানা যায়, ভবনটি এক সময় আইন ও বিচার বিভাগের নিম্ন আদালতের কার্যালয় হিসেবে ব্যাবহার করা হত।পরে আদালত কার্যক্রম জেলা আদালতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পর থেকে ভবনটি তিনটি কক্ষরের একটিতে দলিল রেজিস্ট্রির করা। দ্বিতীয়টিতে দলিল লেখা সংরক্ষন ও অন্য কক্ষটিতে সাবরেজিস্ট্রি চেম্বার হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে । বিগত বছরের তুলনায় বর্তমানে ভবনের বেহাল দশায় জানমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে । কেননা সরকারের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসে জমিসংক্রান্ত মূল্য বান প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা থাকে।
এই দপ্তর হতে জমিহস্তান্তরের মাধ্যমে সরকার রাজস্ব আদায় করে থাকেন। দপ্তরে জ্বরাজ্বীর্ণ ভগ্নদশা ঝুঁকিপূর্ণ বেহাল ভবনে অনেকেই আসতে অনিহাই প্রকাশ করে। আর যারা আসছে তারা একপ্রকার বাধ্য হয়েই সেবা নিতে আসছেন । তারা অতিদ্রুত সংস্কারের জোড় দাবী জানান।
এবিষয়ে তাড়াশ সাব-রেজিস্টার ফারহানা আজিজ জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে । এমন অবস্থার মধ্যে দিয়েও জনসাধারণের সেবায় আমিও আমার সকল কর্মচারী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই দলিলের রেকর্ড কার্যের মূল লেখার কাজ ২০১৬ইং পর্যন্ত সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। বাকী সনের কাজ চলমান রয়েছে ।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, তাড়াশ, বেলকুচি সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন পুরাতন এবং জীর্ণ হওয়ায় সংস্কারের কাজ করণের নিমিত্তে আবেদন পত্র সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।