আখাউড়ায় 'ট্রেনের কাণ্ড' নিয়ে তদন্ত শুরু
- মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
-
২০২২-১০-২৯ ০৫:১৬:৪২
- Print
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ট্রেন চলাচল নিয়ে ‘হুলুস্থূল’ কাণ্ড ঘটে যায়। অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় তিনটি ট্রেন। এ ঘটনায় গঠিত তুন সদস্যের কমিটি শনিবার সকাল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক, সদস্য সহকারি প্রকৌশলী (এ.এস.ই) কাজীব ইমাম, সহকারি যান্ত্রিক প্রকৌশলী
ইজহারুল ইসলাম (এ.এম.ই) সকালে আখাউড়ায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া সংকেত চালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোজ নেন। সংশ্লিষ্টদের সাথে তারা কথাও বলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক জানান, তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তবে কি কারণে এমন হয় সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
শুক্রবারের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্টরা একে অপরকে দোষারোপ করে। এতে ট্রেন চলাচল শুরু করতে বিলম্ব হয়। শেষ পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সরজমিনে ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস (৪ নম্বর ডাউন) ট্রেনটি বেলা ১টা ৩৭ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। দুটি ট্রেনের ক্রসিংয়ের কারণে ট্রেনটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে। বেলা ৩টার দিকে ওই ট্রেনটি দাঁড়ানো অবস্থায়ই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ৬০৪ নম্বর কন্টেইনার ট্রেন একই লাইনে প্রবেশ করতে থাকে। চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে জরুরি ব্রেক কষে প্রায় দু’শ গজ দূরে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। একই সময়ে ট্রেনটির পরিচালকও ব্রেক কষেন। একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি কন্টেইনার ট্রেনের পাশ দিয়ে যায়।