ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট চরমে পৌঁছালে জরুরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে চীন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এ কথা জানান।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন জ্বালানি আমদানি করে থাকে। আমাদের পক্ষে রপ্তানি করার মতো পরিস্থিতি নেই। তবে বাংলাদেশের খুব বেশি প্রয়োজন হলে চীন চুপ করে বসে থাকবে না, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জ্বালানি সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি বেইজিংয়ের সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।
লি জিমিং জানান, চীন বাংলাদেশকে ক্লিন এনার্জি খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। কারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লিন এনার্জির লক্ষ্যে সোলার প্যানেল প্রতিষ্ঠায় চীনের কোম্পানি বিনিয়োগ করতে চায়।
বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগী আখ্যা দিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত যেকোনো অভ্যন্তরীণ ইস্যু শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের মত দেন।
লি জিমিং বলেন, চীন সবসময় স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়। চীন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধান করবে। অনেক চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। চীনের মানুষ যেমন বাংলাদেশকে পছন্দ করে, তেমনি চীনের ব্যবসায়ীরাও। এজন্য চীন সব সময় চায় বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক।
এ সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার সমস্যা সমাধানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রা ব্যবহারের পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত।
লি জিমিং বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাশ্রয় করতে চাইলে বাংলাদেশ ডলারের পরিবর্তে চীনের মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারে।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।