দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার প্রতিবাদে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সমাজের মানবন্ধন
- মামুনুর রশিদ, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)
-
২০২২-১০-২৫ ১৩:১৭:০৪
- Print
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে একদল দূবৃত্তের হামলায় আব্দুল লতিফ নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে (অবঃ বিডিআর কর্মকর্তা) রক্তাক্তভাবে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে তার একমাত্র স্কুল শিক্ষক ছেলে এখন পড়েছে চরম বিপাকে। মামলা তুলে নিতে আসামীদের পক্ষ থেকে মামলার বাদী স্কুল শিক্ষক ফরিজার রহমান গোলাপ, তার পিতা ও পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। পূনরায় হামলা করতে তাদের চলাফেরা ও গতিবিধির উপর সার্বক্ষনিক ছায়ার মত অনুসরন করছে জামিনে আসা মামলার আসামীরা। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক নিয়ে দিনাতিপাত করছেন নির্যাতিত এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকল সদস্যগন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদী ও আহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফরিজার রহমান গোলাপ। তিনিসহ মানববন্ধনে সমবেত মুক্তিযোদ্ধাগন পরিবারটির নিরাপত্তার জন্য আসামীদের উপর পুলিশি নজরদারীর ব্যবস্থা করতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অর্ধ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার লোকজন। বক্তব্য রাখেন আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ এর একমাত্র সন্তান স্কুল শিক্ষক ফরিজার রহমান গোলাপ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, রজব আলী, ইয়াসিন আলী, আবু কালাম প্রমুখ।
স্কুল শিক্ষক ফরিজার রহমান বলেন, তার গ্রামের বাড়ি পলাশবাড়ি ইউনিয়নের কালিকাপুর বড়পাড়া গ্রামে। গত প্রায় ৬ বছর যাবত একই গ্রামের দাঙ্গাবাজ ও ভূমিদশ্যু আসলাম সরকার তার দলবল নিয়ে আমাদের পৈত্রিক ও ভোগ দখলীয় সম্পত্তি জোর পূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বাধা প্রদান করা হলে একাধিকবার তারা আমার পিতা ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও মারপিট করে থাকে। আমার পিতা তাদের জবর দখলের অপচেষ্টা ঠেকাতে আদালতে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২ অক্টোবর দুপুরে আমার পিতাকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথা ক্ষত বিক্ষত করে ও রডের আঘাতে বাম পা ভেঙ্গে দেয়। এখনও আমার পিতা চরম অসুস্থ্য অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। মস্তিস্কে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি এখন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। তার মস্তিস্ক বিকৃতি হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানায় ৩ অক্টোবর আসলাম সরকারসহ ৭ ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়(মামলা নং-৪)। পুলিশ প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করেন। কিন্তু পলাতক আসামী মাহামুদুল হাসান আশিক ও জামিনে আসা আসামীরা মামলা তুলে নিতে আমাকে ও আমার পিতাসহ পরিবারের সদস্যদেরকে বারবার প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে। আমার পিতাকে বলা হয়েছে মামলা তুলে না নিলে তোর একমাত্র পুত্র সন্তানকে আজীবনের জন্য হারাতে হবে। আমি তাদের ভয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতে পারিনা। মামলার আসামীরা আমাকেসহ আমাদের পরিবারের সদস্যদের উপর পূনরায় হামলা করতে আমাদের চলাফেরা ও গতিবিধির উপর সার্বক্ষনিক ছায়ার মত অনুসরন করে আসছে। এতে আমাদেরকে চরম আতঙ্ক নিয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে আমি আমার পিতাসহ আমাদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা বা আসামীদের উপর নজরদারীর ব্যবস্থা করতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানাচ্ছি।
মুক্তিযোদ্ধা বলেন, পরিস্থিতিগত কারন বিবেচনা করে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আব্দুল লতিফ ও তার পরিবারকে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া প্রয়োজন। তাই আমি ও আমাদের সকল মুক্তিযোদ্ধাগন রনাঙ্গনের সাথী হিসেবে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইন্চার্জ আবুল হাসনাত বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফকে রক্তাক্তভাবে আহত করার ঘটনাটি ছিল লোম হর্ষক ও বেদনাদায়ক। আমাদের অফিসারগন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রæততম সময়ের মধ্যেই মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অন্যান্য আসামীদের হুমকীর বিষয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী সংবাদ পাওয়া মাত্রই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ তৎপর থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা বলেন, পরিস্থিতিগত কারন বিবেচনা করে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আব্দুল লতিফ ও তার পরিবারকে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া প্রয়োজন। তাই আমি ও আমাদের সকল মুক্তিযোদ্ধাগন রনাঙ্গনের সাথী হিসেবে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইন্চার্জ আবুল হাসনাত বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফকে রক্তাক্তভাবে আহত করার ঘটনাটি ছিল লোম হর্ষক ও বেদনাদায়ক। আমাদের অফিসারগন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রæততম সময়ের মধ্যেই মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অন্যান্য আসামীদের হুমকীর বিষয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী সংবাদ পাওয়া মাত্রই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ তৎপর থাকবে।