গতবছরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে মাত্র ৭ মাসেই আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল। সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার ১৪০ জন মানুষের দেহে। এর মধ্যে এই মহামারিতে মারা গেছেন ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৬ জন। আবার সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ৮৪ লাখ ৭০ হজার ২৭৫ জন। সে হিসাবে বর্তমানে ৫১ লাখ ২৪ হাজার ৪৪৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের মৃদু বা বেশি মাত্রায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তার অর্ধেকেরও বেশির অবস্থান মাত্র চারটি দেশে। এ চারটি দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারত।
পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগ (২৪ দশমিক ৭ শতাংশ) ভূমি নিয়ে গড়ে ওঠা এই চার দেশে করোনা শনাক্ত রোগীর পরিমাণ পুরো বিশ্বের ৫৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।
ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ এ। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ১২ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৭ হাজার ৯৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৭ জন।
মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৯ জন।
তবে মৃতের সংখ্যা কম হলেও সংক্রমণের তালিকায় ব্রাজিলের পরই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের অবস্থান। দেশটির ১০ লাখ ৪০ হাজার ৪৫৭ জন এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন।
পৃথিবীর মানচিত্রের সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে থাকা ইউরেশিয়ান দেশ রাশিয়াতেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ২০৩ জনের।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৬১২ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২, ৫৪৭ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৭২৫ জন।
ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।