সিরাজগঞ্জে যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলার ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ । একটি জেলার জন্য ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এটির বাস্তব উদহরণ সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ। এই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্বে আছেন টি.আই মো. সালেকুজ্জামান খান। তিনি ১২ আগষ্ট ২০২১ সালে সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের পর থেকেই সিরাজগঞ্জ জেলার ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ সেবা কর্মকান্ডে গতিশীলতায় প্রাণ ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, আগে ট্রাফিক অফিসে এসে সেবার জন্য ঘন্টা পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন ই-ট্রাফিক' ব্যাবস্থায় সেবা প্রদান পদ্ধতি ব্যবহার করায় সেবা ও সময় দুটো সহজলভ্য হয়েছে। এখন আর অপেক্ষা করতে হয় না। দ্রুত কাজ সমাধান হয়ে যায়।
(টি.আই) মো. সালেকুজ্জামান খান বলেন, বর্তমান সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) স্যারের দিক নির্দেশনায় এবং সর্বক্ষণিক তদারকিতে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ৮ হাজার ১৪৪ টি মামলা হয়েছে। যার জরিমানা প্রায় ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩০০ টাকা সরকারি রাজস্ব কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় শহরের যানজট নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ।আগের চেয়ে ট্রাফিক বিভাগ গতিশীল ও সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন দিনের বেলায় শহরের ভিতর বালির ট্রাক প্রবেশ, লোড-আনলোড বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকাল ৮ হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত বড় বাজারে, মুজিব সড়ক, বড় ট্রাক প্রবেশ আনলোড নিষেধ করা হয়েছে । এগুলো আইন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং আইন প্রয়োগ করছি। তিনি আরো বলেন, সারা দেশে উঠতি বয়সের ছেলেরা বাইক দুর্ঘটনার স্বীকার বেশি হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা চাচ্ছি কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয়।